হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন শমী কায়সার

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে ৩ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম হামিদুল মেজবাহ।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন শমী কায়সার।

গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের ৫৩ নম্বর বাসা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গত ৯ নভেম্বর শমী কায়সারকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় শমী কায়সার ২৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। রিমান্ড শেষে শমী কায়সারকে ৯ নভেম্বর কারাগারে পাঠান ঢাকার আদালত।

এর আগে সৈয়দ হাসান মাহমুদ নামে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকার সিএমএম আদালতে ভুক্তভোগী নিজেই গত ৯ অক্টোবর এই মামলা করেছিলেন। মামলায় শমী কায়সার ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অভিনেত্রী তারানা হালিম, কণ্ঠশিল্পী মমতাজসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছিলেন শমী কায়সার। তাছাড়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। যেই অভিযোগে শমী কায়সারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা হয়েছে।

গত ১৩ অক্টোবর মাগুরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন মোহাম্মদ রেজওয়ান কবির নামে এক ব্যক্তি। তবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হত্যার এক মামলায়।

গত ১৪ আগস্ট দেশের ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন শমী কায়সার।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *