:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
আবারও বেড়েছে ১০ পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে চাল থেকে শুরু করে ডাল, চিনি, আটা-ময়দা, আদা-রসুন, আলু, সব ধরনের মাংস, ডিম ও গুঁড়াদুধের দাম বেড়েছে আরেক দফা।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্যের দাম বাড়াতে ব্যবসায়ীদের এখন আর কোনো ইস্যু লাগে না। তারা চাইলেই অবৈধ মজুত করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, বাড়াচ্ছে দাম। তাই কঠোরভাবে তদারকি না করলে ক্রেতারা কোনো ধরনের সুফল পাবে না।
বিক্রেতারা বলছেন, এসব পণ্যের দাম ঈদের পর বেড়েছে। সেগুলোর মধ্যে ঈদের আগে যে মসুর ডাল (ছোট দানা) ১২০ টাকা বিক্রি হয়েছে তা শুক্রবার ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড় দানার মসুর ডাল কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে ১১০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি খোলা চিনি মানভেদে ২-৪ টাকা বেড়ে ৮২-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি খোলা আটা ২-৫ টাকা বেড়ে ৪২-৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খোলা ময়দা কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতিকেজি আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ শুক্রবার ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৩৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা আদা ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ ও ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি দেশি রসুন ২০ টাকা বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় শুকনা মরিচও যোগ হয়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২২০-২৪০ টাকা। বাজারে নতুন করে মুরগি ও গরুর মাংসের দামও বেড়েছে। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ১৮০ টাকা। ঈদের আগে ৭০০ টাকা কেজিদরে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হলেও এখন সর্বোচ্চ ৭২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ডিমের দামও বেড়েছে। প্রতি হালি ফার্মের ডিম এক সপ্তাহ আগে ৩৬ টাকা বিক্রি হলেও শুক্রবার ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কোম্পানিভেদে প্রতিকেজি গুঁড়াদুধ ৬৫০-৬৯০ টাকা বিক্রি হলেও খুচরা বাজার ও পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৯০-৭৫০ টাকা। আর রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিলিটার বোতল সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা।
কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পণ্যের দাম কী কারণে বাড়ছে তার সুনির্দিষ্ট কারণ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে বের করতে হবে। কোথায় কোথায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে তার রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি কঠোরভাবে তদারকি না করলে ভোক্তা কখনো সুফল পাবে না।