■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে ২৮ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ধারণা করা হচ্ছে। ওই নারী স্বামী ও তিন সন্তান নিয়ে ছয় বছর ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন।
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রামমূর্তি এলাকার কালকেরে লেকের কাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নিহত নারীর নাম নাজমা। তিনি ভারতে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন এবং তার কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র, যেমন বাংলাদেশের পাসপোর্ট, পাওয়া যায়নি। নারীটির স্বামী একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, একটি অ্যাপার্টমেন্টে গৃহকর্মীর কাজ করতেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা একটি নির্জন এলাকায় তার মৃতদেহ দেখতে পান। তারা তখন তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে খবর দেন।
বৃহস্পতিবার ওই নারী তার সহকর্মীকে বলেছিলেন, তার কিছু ব্যক্তিগত কাজ আছে এবং দেরি হতে পারে। তাই সহকর্মীকে বলেন তাকে ছাড়াই চলে যেতে। তবে যখন তার বাড়ি ফিরতে দেরি হয় তখন তার স্বামী রামমূর্তি নগর থানায় অভিযোগ করেন।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তিনি পরিচিত কারও সঙ্গে দেখা করতে সেখানে গিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালে মাথায় বড় পাথরের আঘাতসহ তার মরদেহ পাওয়া যায়। সম্ভবত কোনো তর্ক-বিতর্কের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিএনএস ধারা ৬৩ (ধর্ষণ) এবং ১০৩ (হত্যা)-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছি এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি।
এদিকে ঘটনার খবর পাওয়ার পর পূর্ব বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) দেবরাজ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে ১১২ নম্বরে কল পেয়ে আমরা একটি পরিত্যক্ত স্থানে এক নারীর মরদেহ পাওয়ার তথ্য পাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি নৃশংস অপরাধ। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, “সকালে ইমারজেন্সি হেল্পলাইন ১১২-তে কল পাই। নগরের কেলকেরে লেকের কাছে ওই নারীর মরদেহ পাওয়ার তথ্য পাই। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এটা একটা জঘন্য অপরাধ। এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।।”
তবে বাংলাদেশের কোন জেলায় ওই নারীর বাড়ি তার তথ্য পাওয়া যায়নি।