বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শর্ত শিথিল

:: নাগরিক প্রতিবেদন ::

বৈধ উপায়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী রফিকুল হাসানের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ হাজার অথবা ৫ লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদানে রেমিটারের কাগজপত্র বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে রেমিটারের কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়া ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।
 
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। 

আগে ৫ হাজার ডলার বা ৫ লাখ টাকার বেশি আয় পাঠাতে আয়ের নথিপত্র জমা দিতে হতো। এতে বেশি পরিমাণ অর্থ পাঠাতে পারতেন না বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা।

নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে অবাধে টাকা আনতে কোনো বাধা থাকলো না। 

করোনা শুরুর পর রেমিট্যান্সে নগদ ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। কেউ যদি বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০০ টাকা পাঠায়, তবে দেশে তার প্রতিনিধি সেই টাকার সঙ্গে ২ টাকা বেশি পাবে। অর্থাৎ, ১০০ টাকা এলে পাওয়া যেত ১০২ টাকা। এরপর চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) শুরু থেকে এ প্রণোদনা আরও দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয় ২ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ১০২ টাকা ৫০ পয়সা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশ থেকে অবাধে টাকা আনতে আর বাধা নেই। এ নিয়ে বিদেশের এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে কেউ প্রশ্ন করবে না। প্রজ্ঞাপন জারির দিন অর্থাৎ আজ থেকেই এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

গত ১২ মে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড প্রদান শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছিলেন, দেশ থেকে যেসব টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে (পাচার হয়েছে), তা আবার ফেরত আসবে। বিদেশে টাকা রাখলে লাভের বদলে ব্যাংকগুলোকে সার্ভিস চার্জ বাবদ টাকা দিতে হয়। এতে লাভের চেয়ে লোকসান বেশি হয়। তিনি আরো বলেন, এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সবাই টাকা নিয়ে দেশে ফেরত আসে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *