■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
যুদ্ধবিরতির অংশ ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে ষষ্ঠ ধাপে আরও ৩৬৯ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল সরকার। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের মুক্তি দেওয়া হবে।
হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার মুক্তির অপেক্ষায় থাকা কারাবন্দিদের মধ্যে ৩৩৩ জনই গাজার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত।
এই ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দির বিনিময়ে যে ৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি পাচ্ছেন আজ। তাদের নাম গতকালকেই ইসরায়েল সরকারের কাছে পাঠিয়েছে হামাস। এই জিম্মিরা হলেন- সাশা ত্রোউফানভ, সাগুই দেকেল-শেন এবং আয়ার হর্ন। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যে আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস, তাদের মধ্যে এরাও ছিলেন।
আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এই মুক্তি প্রক্রিয়া ‘যথাযথ পদ্ধতিতে’ হবে, যা ফিলিস্তিনের ‘সংস্কৃতি এবং ইসলামের শিক্ষার’ প্রতিফলন ঘটাবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই চুক্তির আওতায় হামাস ১৬ ইসরায়েলি এবং ৫ থাই বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলও প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে বাধ্য, যার মধ্যে বহু হামাস যোদ্ধা রয়েছে, যারা বিভিন্ন সময় ইসরায়েলে হামলার জন্য যাবজ্জীবন বা দীর্ঘ কারাদণ্ড ভোগ করছিল।
তবে চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে, কারণ এ নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
৭ অক্টোবরের হামলায় হামাস ২৫১ জনকে অপহরণ করেছিল, যাদের মধ্যে ৭৩ জন এখনো গাজায় আটক রয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন মারা গেছে।
এদিকে, হামাস জানিয়েছে, গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা আগামী সপ্তাহে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।