■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত লেফেটন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের সেনানিবাসের বাসা থেকে ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর সেনানিবাস এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে এ টাকা উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন এই তথ্য জানান।
আক্তার হোসেন বলেন, ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান সাইফুল আলমের বিষয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধান চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে তাঁর বাসা থেকে যে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে, তা আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই অভিযানে একটি ট্রাংকে ২ কোটি ৪৫ লাখের বেশি টাকা পাওয়া যায়। সেই অভিযানে আমাদের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও যৌথ বাহিনীর উপস্থিতিতে জব্দ তালিকা করা হয়েছে। সেই টাকা আদালতে দাখিল করা হবে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, সাইফুল আলমের সেনানিবাসের বাসায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ওই অভিযান চালিয়ে নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
তবে এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফেটন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী লুবনা আফরোজ ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লেফেটন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছিল। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন। এছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল ও ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বরে সাইফুল আলমকে বাধত্যমূলক অবসরে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত লেফেটন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমেকে গত ১৩ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।
সাইফুল আলম বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে ১৪তম বিএমএ লং কোর্সের ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে কমিশন পান।
আওয়ামী লীগ সরকার সাইফুলকে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।