■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
সরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সন্তানদের কোটার আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোটার পরিবর্তে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে আসন বেশি রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা কেবলমাত্র ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।
সোমবার (৩ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের ফলে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও শহিদ হন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জারিকৃত আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হলো।
এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/শহিদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে ১টি করে আসন সংরক্ষিত থাকবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/ শহিদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গ্যাজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহিদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/ শহিদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না। এ আদেশ কেবলমাত্র ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য হবে।
এর আগে, জারি করা একটি আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা পাবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদেরকে স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে একটি এককালীন সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল।
অভ্যুত্থানে আহত প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জনের পরিবারের জন্য স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে এটি একটি এককালীন সুবিধা হিসেবে থাকবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যে এককালীন সহায়তা দেওয়া হচ্ছে তারই একটা অংশ হিসেবে এটা বিবেচনা করা হচ্ছে। কোনোভাবেই এটা কোটার সঙ্গে তুলনীয় নয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহতদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে কোটা বাতিল করা হয়েছে। কোটার বিপক্ষে লড়াই শুরু হয়ে সেটা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল, আমরা যেন সেটা ভুলে না যাই।’