■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
রাজধানীর কুড়িল এলাকায় রেললাইনে দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচুড়া ফুলের ছবি তুলছিলেন ফটোগ্রাফার ইসতিয়াক আহমেদ রাফিদ। এমন সময় চলে আসে দ্রুতগতির একটি ট্রেন। আর সেখানেই কাটা পড়ে মারা যান তিনি। শুক্রবার (২ মে) বিকাল ৫টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি ভিডিওতে দেখা যায় ক্যামেরা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি ইসতিয়াক। দ্রুতগতির ট্রেনটি তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
জানা গেছে, নিহত ইসতিয়াক রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের ছাত্র ও সৌখিন ফটোগ্রাফার ছিলেন।
ইসতিয়াক আহমেদের মৃত্যুর পর সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে এ নিয়ে সমবেদনা জানান তার ফটোগ্রাফির ভক্তরা। ইশতিয়াক অসাধারণ ছবি তুলতেন। তার ছবিতে মুগ্ধ হতেন ছবিপ্রেমীরা। সেই ছবি তুলতে গিয়েই আজ প্রাণ হারালেন ইশতিয়াক।
ঘটনার সময় ইশতিয়াকের খালাতো ভাই ঢাকার কুর্মিটোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান তার সঙ্গে ছিল। তিনি জানান, ইশতিয়াক মোবাইল ফোনে টঙ্গী থেকে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ভিডিও ধারণ করছিলেন। এমন সময় অন্য লাইনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আরেকটি ট্রেনে তিনি কাটা পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, ভিডিও ধারণ করার সময় উল্টো দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান ইশতিয়াক আহমেদ রাফিদ। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।