■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (২১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
দেশে চলতি বছর জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৭৭ জন করোনা পরীক্ষা করেছেন। এর বিপরীতে ৩৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এই বছর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এর মধ্যে আটজন নারী আর তিনজন পুরুষ রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৫১০।
এতে বলা হয়েছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত চারজনসহ দেশে এ পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৯৪২ জনে। নতুন করে দুজন মারা যাওয়ায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৫১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
করোনায় আক্রান্ত হলে কী খাবেন
দেখা দিয়েছে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট। এই সময়ে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারই পারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে।
যা করতে হবে
- খাবারের পরিমাণ যা-ই হোক, তা যেন পুষ্টিকর হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
- স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তরল ও পানিজাতীয় খাবার বেশি গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবে যেন শরীর পানিশূন্য না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- মাছ, মুরগি, দুধ, ডিম, বাদাম ও দইজাতীয় খাবার স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি খেতে হবে। খেতে হবে মৌসুমি ফল। শাকসবজি, সালাদ ও লেবুজাতীয় খাবারও খেতে হবে।
- সাধারণভাবে তৈরি করা খাবার খেতে অসুবিধা হলে খাবার তৈরির প্রক্রিয়া বদল করে সহজে হজম হয়, তেমন উপায়ে তৈরি করে রোগীকে দিতে হবে। মাছ বা মুরগির স্টু কিংবা সবজি এবং স্যুপ করেও দেওয়া যেতে পারে।
- খুব বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। বাইরের কেনা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এগুলো শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরির জন্য দায়ী।
- যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের বা কিডনি রোগ আছে, তাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। তাঁদের রোগ অনুসারে খাবার খেতে হবে। গর্ভবতী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের এ সময় সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া।
- ওজন ও বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যাপ্ত ক্যালরি এবং বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নয়তো শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে।
- করোনায় আক্রান্ত কারও ডায়রিয়া হলে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি, কাঁচা কলা, আয়রনযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার
শাকসবজি: পালংশাক, কচুশাক, ব্রকলি
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার: মটরশুঁটি, মসুর ডাল, রাজমা, ছোলা
মাংস ও মাছ: লাল মাংস (যেমন গরুর মাংস), মুরগির মাংস, ডিম, কলিজা, চিংড়ি
শুকনা ফল: কিশমিশ, খেজুর, অ্যাপ্রিকট
বাদাম: কাজু, কাঠবাদাম