মুরাদনগরে তিনজনকে হত্যায় জড়িত ২ জন আটক

■ কুমিল্লা প্রতিনিধি ■

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত রুবি আক্তারের মেয়ে রিক্তা বেগম বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভিযানে দুজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) ভোরের দিকে ক্যাপ্টেন আদিল শাহরিয়ারের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল মুরাদনগরের আকবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. সবির আহমেদ (৪৮) ও মো. নাজিমউদ্দীন বাবুল (৫৬)।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ী গ্রামে মোবাইল চুরির সন্দেহে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- খলিলুর রহমানের স্ত্রী রোকসানা বেগম রুবি (৫৩), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার জোনাকি (২৯)। গুরুতর আহত হন পরিবারের আরেক সদস্য রুমা আক্তার (২৮)। তিনি বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছিল। মোবাইল ফোন চুরির ঘটনার জেরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাঁদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত চলছে। সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে তিনজনের ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

এদিকে মরদেহ এলাকায় নিয়ে এলেও কবর খোঁড়া ও জানাজার জন্য লোকজন পাওয়া যায়নি। পুলিশের সহযোগিতায় এলাকাবাসী কবল খুঁড়ে তিনটি লাশ দাফন করে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে কড়ইবাড়ি গ্রামে মাদক ব্যবসার অভিযোগে একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।  

এছাড়া পরিবারের আরেক সদস্য রুমা আক্তার (২৮) গণপিটুনির শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় চিকিৎসাধীন। নিহত তিনজনের বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা চলমান ছিল।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *