:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ এবং নারী ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন। এর আগে ২০১১ সালে জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৬৯৭। ১০ বছরে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।
বুধবার (২৭ জুলাই) জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ এর প্রাথমিক তথ্যে এ কথা জানানো হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ তথ্য উপস্থাপন করেন ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। আরও উপস্থিত আছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
জনশুমারির তথ্য বলছে , এই জনসংখ্যার ১১ কোটি ৩০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৭ জন পল্লী এলাকায় থাকেন এবং ৫ কোটি ২০ লাখ ৯ হাজার ৭২ জন শহরে থাকেন। মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিজড়া জনগোষ্ঠী মাত্র ১২ হাজার ৬২৯ জন। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ২৮৩ জন পল্লী এলাকায় এবং ৬ হাজার ৩৪৬ জন শহরে বসবাস করেন। এর মধ্যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৬ লাখ ৫০ হাজার ১৫৯ জন।
দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনশুমারির কাজ শুরু হয় গত ১৫ মে। সারা দেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করেন।
জনশুমারির তথ্য অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার কমছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ, ২০০১ সালে ছিল ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ছিল ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ ও ১৯৮১ সালে ছিল ২ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
২০০১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা ছিল ১২ কোটি ৪৩ লাখ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন, ১৯৯১ সালে ছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২ জন, ১৯৮১ সালে ছিল আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন এবং ১৯৭৪ সালের প্রথম শুমারিতে দেশে জনসংখ্যা সাত কোটি ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৭১ জন গণনা করা হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২০’ হালনাগাদ জরিপে ১ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯১ লাখ। সেই হিসাবে জনসংখ্যা কমেছে।
প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করেন ১১১৯ জন
দেশে জনঘনত্ব আরও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনঘনত্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৯ জনে।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে এ তথ্য মেলে।
২০১১ সালের শেষ জনশুমারিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনঘনত্ব ছিল ৯৭৬ জন। ২০০১ সালে ছিল ৮৪৩ জন। ১৯৯১ সালে ছিল ৪২০ এবং ১৯৮১ সালে ছিল ৫৯০ জন। ১৯৭৪ সালের প্রথম জনশুমারিতে এ সংখ্যা ছিল ৪৮৪ জন।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি জনঘনত্ব ঢাকায়। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২ হাজার ১০৫ জন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম বরিশালে ৬৮৮ জন।
সিটি করপোরেশনভিত্তিক বিভাজনে দেখা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় সবচেয়ে বেশি মানুষের বাস। এ সংখ্যা ৫৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৭ জন। সবচেয়ে কম বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায়, ৪ লাখ ১৯ হাজার ৩৫১ জন। জনঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি এলাকায়, ৩৯ হাজার ৩৫৩ জন।