■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
১৮ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হাসপতাল ত্যাগ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
পরিচালক জানান, নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা উন্নতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বিকেলে তিনি হাসপাতাল ত্যাগ করেন। ঘটনার দিনই তাঁকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি ভিত্তিতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরে তাঁকে ঢামেক-এর পুরাতন ভবনের ৪র্থ তলার নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।
সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন নুরুল হক নুর। এখন তিনি মিডিয়ার সামনে কথা বলতে পারবেন না। তার অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, নুরুল হক আজ ঢাকা মেডিকেল থেকে বাসায় গেলেও আগামীকাল মঙ্গলবার অন্য আরেকটি হাসপাতালে তাঁর নাকের অস্ত্রোপচার করা হবে।
রাশেদ খান বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল থেকে আজ তাঁকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল আরেকটি মেডিকেলে তাঁর নাকের অস্ত্রোপচার করানো হবে। এক মেডিকেল থেকে আরেক মেডিকেলে যেতে হবে, তাই আজকে তিনি রিলিজ নিয়ে বাসায় গিয়েছেন।’
নুরুল হকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাশেদ খান বলেন, ‘নুরুল হক এখনো হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য আরও কিছুদিন সময় লাগবে। নাকের হাড় ভেঙে যাওয়ায় তিনি এখনো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেন না।’
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগস্ট রাতে বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় নুরকে প্রথমে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাত ১১টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
নুরুল হক নুরকে মারধরের ঘটনাটি দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিএনপি-জামায়াতসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল এ ঘটনায় নিন্দা জানায়। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা তার চিকিৎসার খোঁজ নেন। প্রধান উপদেষ্টা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছে।