■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ভেনেজুয়েলা। বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে এসব ভূমিকম্প আঘাত হানে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এবং ভেনেজুয়েলার ফাউন্ডেশন ফর সিসমোলজিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল রাজধানী কারাকাস থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পশ্চিমে তেল সমৃদ্ধ জুলিয়া রাজ্যের মেনে গ্রান্ডের কাছে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর পর গত সাত ঘণ্টায় কমপক্ষে ২১টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে। স্থানীয় ভূকম্পবিদরা উদ্বিগ্ন হয়ে এই অঞ্চলে চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিও এবং ছবিতে বহুতল ভবনের দেয়ালে ফাটল ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট দেখানো হয়েছে।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে, বিশেষ করে মারাকাইবো শহরে ভূমিকম্পগুলো সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়। সেখানে ফাটল দেখা দেওয়ার পর অনেক বাসিন্দারা ভবনগুলো খালি করে ফেলেছেন।
জুলিয়ার গভর্নর লুইস ক্যালডেরা বলেছেন, কিছু হাসপাতাল এবং আইকনিক সান্তা বারবারা গির্জার ক্ষতি হয়েছে। অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, একটি গম্বুজ থেকে একটি ‘ক্রস’ পড়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কারাকাসে ভবনগুলো যখন কেঁপে উঠছিল, অনেক বাসিন্দা তাদের অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেছেন, লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য দেশব্যাপী নাগরিক সুরক্ষা ও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ভেনেজুয়েলা ক্যারিবীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার টেকটোনিক প্লেট এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ফল্ট লাইনে অবস্থিত। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে বাস করে।
ভেনেজুয়েলা ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। ক্যারিবিয়ান ও দক্ষিণ আমেরিকান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষস্থলে অবস্থিত এই দেশটিতে গত শতাব্দীতে দেশটি পাঁচটি বড় ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে, যার মধ্যে ২০১৮ সালে উত্তর উপকূলে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পও রয়েছে। ভূমিকম্পে ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন।ভেনেজুয়েলায় সর্বশেষ মারাত্মক ভূমিকম্পটি ১৯৯৭ সালে কারিয়াকো শহরে হয়েছিল, যেখানে ৭৩ জন প্রাণ হারান।