কারাবন্দী সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ মারা গেছেন

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

কারাবন্দী সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

নূরুল মজিদের ছেলে মনজুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লিখেছেন, ‘আমার বাবা আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যেন তাকে জান্নাত নসিব করুন।’

এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুর বিষয়ে এক বিবৃতিতে কারা অধিদপ্তর জানিয়েছে, শ্রেণিপ্রাপ্ত (ডিভিশন পাওয়া) হাজতি বন্দী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (সাবেক শিল্পমন্ত্রী) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন।

আনকন্ট্রোলড বাউয়েল অ্যান্ড ব্ল্যাডার রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীকালে গতকাল বিকেল ৪টার দিকে আইসিইউ রেফার্ড করা হয়। আইসিইউতে চিকিৎসা চলাকালীন আজ সকাল আনুমানিক ৮টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন নূরুল মজিদ। হাসপাতাল সূত্র জানায়, অসুস্থ অবস্থায় ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নূরুল মজিদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। ওই দিন নরসিংদীতে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাবেক এই শিল্পমন্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ৪ আগস্ট নরসিংদীর মাধবদী এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালীন ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, আক্রমণ ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তিনি ২০১৯ সালে প্রথমবার এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয়বার শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *