■ ক্রীড়া প্রতিবেদক ■
আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন তামিম।
আজ সকালে প্রার্থীতা সরিয়ে নেন তামিম ইকবাল, সাঈদ ইব্রাহিম আহমেদ, ইসরাফিল খসরু, সৈয়দ বোরহানুল ইসলাম এবং রফিকুল ইসলাম বাবুদের মতো আলোচিত প্রার্থীরা।
আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিসিবি নির্বাচনের পরিচালক পদের প্রার্থিতা বাতিলের শেষ সময়। দুপুর ২টায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
তামিম যখন এলেন, তখনই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বিষয়টা। শেষমেশ তাই হলো। তামিম সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করলেন, তিনি বিসিবি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না আর। মূলত কয়েকটি ক্লাবকে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ না দেওয়ার কারণে অসন্তোষ ছিল তার।
তামিমের আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ মাধ্যমকে বলা, কিংবা তার আগে বিসিবিতে আসা… এসবের আগ থেকেই ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন ছিল তার সরে যাওয়ার। নির্বাচনে ‘সরকারি হস্তক্ষেপের’ প্রতিবাদে আজ অন্তত ১০-১২টি ক্লাবের প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোর খবর মিলছিল বিভিন্ন সূত্র থেকে। এই বিষয়েই গেল রাতে জরুরি সভা বসেছিল। আজ তারই ফল দেখা গেল।
কাল বিকেলে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট থেকে উঠে আসা বিতর্কিত ১৫টি ক্লাবের কাউন্সিলর বা প্রতিনিধির নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সৈয়দ হাসান যুবায়েরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। এর পর থেকেই তামিমের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার নিয়ে গুঞ্জন শোনা যায়। জানা গেছে, আরও অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারেন।
এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা, বিভাগ ও ক্লাব সংগঠকদের একটি পক্ষ নির্বাচনের জন্য জেলা ও বিভাগের কাউন্সিলরদের নাম পাঠানোয় সরকারি হস্তক্ষেপ ও বিসিবি সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছিলেন তামিম।
উল্লেখ্য, আগামী ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। জেলা ও বিভাগ থেকে ১০ জন পরিচালক নির্বাচিত হন নিজ নিজ বিভাগের কাউন্সিলরদের ভোটে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ থেকে দুজন করে এবং বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী ও রংপুর থেকে একজন করে পরিচালক হবেন। এই ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলর ৭১ জন।
ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হবেন ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা নিয়ে গঠিত তৃতীয় ক্যাটাগরির ৪৫ জন কাউন্সিলরের ভোটে পরিচালক হবেন একজন। পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন শেষে ২৫ পরিচালকের ভোটে হবে সভাপতি নির্বাচন।