■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৬ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া প্রতি লিটার পাম তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৩ টাকা। ৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত আগস্টে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে সরকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ব্যবসায়ীরা ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করে। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের মাত্র এক টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমকে জানাননি।
তবে নতুন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা থেকে বেড়ে ১৯৫ টাকা, খোলা সয়াবিনের দাম তিন টাকা বাড়িয়ে ১৭৭ এবং পাম তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়িয়ে ১৬৩ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪৫ টাকা।
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, আজ সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুনরায় বৈঠক হয়। বৈঠকে সয়াবিন তেল ও পাম তেলের নতুন দাম নির্ধারণ হয়। তবে এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে মন্ত্রণালয় এখনো অনুমোদন দেয়নি। তার আগেই ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন।
তবে ভোজ্যতেল উৎপাদনকারী একটি কোম্পানির সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দাম বাড়ার বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের অনুমোদন দিয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে গত এপ্রিল মাসে সর্বশেষ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা করা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৬৯ টাকা এবং বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭০ টাকা বাড়িয়ে ৯২২ টাকা করা হয়। অবশ্য আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে এসে খোলা পাম তেলের দাম লিটারে ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা করা হয়।
আগস্টেই ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১০ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। তবে তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের মাত্র এক টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল। এ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়। এরপর গত ২২ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে কবে বা কত বাড়ানো হবে, সেই বিষয়ে ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। এরপর আজ পুনরায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।