:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন লিজ ট্রাস। ট্রাসের মন্ত্রিসভায় পুরানো কারা থাকছেন, কারা বেরিয়ে যাচ্ছেন বা কারা নতুন যুক্ত হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে জোর আলোচনা।
তবে ধরেই নেওয়া যায়, ট্রাসের ঘনিষ্ঠজনদের দেখা যাবে তার মন্ত্রিসভায়।
ট্রাসের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং বন্ধু কোয়াসি কোয়ার্টেং নতুন চ্যান্সেলর হচ্ছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর জেমস ক্লিভের্লি হচ্ছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভায় ট্রাস নিজেই এ দায়িত্বে ছিলেন।
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান হচ্ছেন নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। জনসনের মন্ত্রিসভার কয়েকজন অবশ্য ট্রাসের মন্ত্রিসভায় নিজে থেকেই থাকতে চাইছেন না বলেও জানতে পেরেছে বিবিসি।
তাদের একজন সাংস্কৃতিকমন্ত্রী নাদিন ডোরিস। তিনি ট্রাসের মন্ত্রিসভায় না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইয়ান ডানকান স্মিথকেও মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, জ্যাকব রিস-মগ বাণিজ্যমন্ত্রী হবেন। একইসঙ্গে তিনি সম্ভবত জ্বালানি এবং জলবায়ুর মত বিষয়গুলিও তার মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করবেন। সাধারণত আরও জুনিয়র একজন মন্ত্রী ওই দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
গ্রিন অ্যালায়েন্স একজনকে দুইটি দায়িত্ব দেয়াকে ‘সম্পূর্ণরূপে অস্থিতিশীল’ বলেছে।
ট্রাসের আরেক ঘনিষ্ঠ মিত্র থেরেসি কফিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে ট্রাসের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যিনি ছিলেন, সেই ঋষি সুনাককে মন্ত্রিসভায় থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
জনসনের মন্ত্রিসভায় সুনাক চ্যান্সেলর ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদর্শনের জন্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের যে হিড়িক শুরু হয়েছিল তার সূচনা করেছিলেন সুনাক। জনসনকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে সুনাকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
মার্ক ফুলব্রুক
ফুলব্রুক একজন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তিনি কনজারভেটিভ দলের সাবেক একজন কর্মকর্তা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ট্রাস যখন দলের মনোনয়নের জন্য বিতর্ক ও প্রচার কাজ চালাচ্ছিলেন, সেই দলের সহপরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ফুলব্রুক।
রুথ পোর্টার
রুথ পোর্টার হলেন ট্রাসের একজন সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা। তিনি এফজিএস গ্লোবাল নামের একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ ছাড়া ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি ট্রাসের সহপ্রচার পরিচালক ছিলেন।
অ্যাডাম জোনস
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় লিজ ট্রাসের মিডিয়া–বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টাদের একজন ছিলেন অ্যাডাম জোনস। তিনি লিজের যোগাযোগ পরিচালকদের একজন হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সাইমন ম্যাকগি
সাইমন একজন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা। একসময় সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি বরিস জনসনের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন।
ডেভিড ক্যানজিনি
ডেভিড ক্যানজিনি ক্রসবি ও ফুলব্রুকের সাবেক সহকর্মী। বরিস জনসনের সময় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের একজন কর্মকর্তা।
জেসন স্টেইন
লিজ ট্রাস যখন অর্থ দপ্তর সামলাচ্ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন জেসন স্টেইন। এখন তিনি এফজিএস গ্লোবালের সঙ্গে কাজ করছেন। ট্রাসের প্রচার দলে কাজ করেছেন।
সারাহ লুডলো
ট্রাসের একজন বিশেষ উপদেষ্টা হচ্ছেন লুডলো। এ ছাড়া তিনি তাঁর প্রচার দলের মিডিয়া শাখায় কাজ করেছেন।
সোফি জার্ভিস
বরিস জনসন সরে যাওয়ার পর কনজারভেটিভ দলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য অনেকেই প্রচার শুরু করেন। লিজ ট্রসের সেই প্রচার দলের একজন সোফি জার্ভিস। জার্ভিস ট্রাসের আরেকজন বিশেষ উপদেষ্টা ছিলেন। প্রচারণার সময় দলের এমপিদের সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ে কাজ করছিলেন সোফি।
শেরিডান ওয়েস্টলেক
শেরিডান মূলত বিভিন্ন কৌশল বিষয়ে কাজ করেন। ডেভিড ক্যামেরন ও এর পর থেকে সব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে (দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) কাজ করেছেন।
জেমস বোলার
যুক্তরাজ্যর আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের স্থায়ী সচিব। সরকারি এই চাকরিজীবীর সঙ্গে ট্রাসের সুসম্পর্ক রয়েছে। তিনি মন্ত্রিপরিষদ সচিব হতে পারেন।