■ বগুড়া প্রতিনিধি ■
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের সভাস্থলে ককটেল হামলা করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া জেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জয়পুরহাটে সমন্বয় সভা শেষে বগুড়ায় আসেন সারজিস আলম। বগুড়া জেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে সমন্বয় সভায় যোগ দিতে বিকেল ৩টায় সেখানে আসেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সারজিস। নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন তিনি। এরপর জেলা পরিষদে সমন্বয় সভায় যোগ দেন সারজিস। এরপরই জেলা পরিষদের পেছনে করতোয়া নদীর পাশ থেকে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এর মধ্যে একটি ককটেল জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বিস্ফোরিত হলেও আরেকটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অবিস্ফোরিত ককটেলটি উদ্ধার করেন তারা।
এনসিপি বগুড়া জেলা কমিটির সমন্বয়কারী দলের সদস্য শওকত ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বক্তব্য দেওয়ার আগ মুহূর্তে বাইরে পরপর তিনটি ককটেল হামলা করা হয়। এর মধ্যে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে। সমন্বয় সভা ভন্ডুল করতেই এই ককটেল হামলা হয়েছে। এ হামলার জন্য তিনি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের দায়ী করেন।
স্থানীয় এনসিপি নেতারা দাবি করেন, পুলিশের কাছে বারবার নিরাপত্তা চাওয়া হলেও পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়নি; যার কারণে সভাস্থল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, আমরা মনে করি এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ ও জনগণ একটা অস্থিতিশীল শঙ্কার দিকে যাচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান করছি। এখানে যারা জড়িত তাদের মুখোশ, পরিচয় উন্মোচন করতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, মানুষ এখনো জুলাই অভ্যুত্থানের কথা শুনলে শিউরে ওঠে। এই দেশের মানুষের সামনে নতুন করে কেউ স্বেচ্ছাচারিতা করতে পারবে না, যদি জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বিচারিক প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করলে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
সারজিস আলম বলেন, ‘বিগত সময়ে বিএনপি যখনই সরকার গঠন করেছে, তা জোট সরকারের মাধ্যমেই করেছে। জামায়াতও কখনো শক্তিশালীভাবে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। আমরা মনে করি, ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। এই জায়গায় এনসিপির রাজপথে ও সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।’
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহাদী সভায় সভাপতিত্ব করেন।