■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন। রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবুল কালাম আজাদ (৩৫)। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে।
দুপুরে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন।
ঘটনার পরপরই মেট্রোরেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তেঁজগাও থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শহিদুজ্জামান বলেন, আমরা ডিউটিরত অবস্থায় পাশেই ছিলাম। খবর পেয়ে দ্রুত এসে দেখি একজন মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটের সামনে ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ওপর থেকে ভারী ধাতব বস্তুটি নিচে পড়ে ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত হানে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার সময় ফুটপাত দিয়ে ওই তরুণ ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিয়ারিং স্প্রিংটি ছিটকে পড়ে তার মাথায় আঘাত করে এবং পাশের একটি চপ-শিঙাড়ার দোকানেও আঘাত হানে। এতে দোকানের সামনের কাঁচ ভেঙে দুইজন আহত হন।
এর আগে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খামারবাড়ি এলাকায়ও মেট্রোরেলের একটি পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল প্রায় ১১ ঘণ্টা। এ ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছে।
মেট্রোরেলের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘ফার্মগেটের খেজুরবাগান মোড়ের নির্মাণ নকশায় ত্রুটি রয়েছে। এর আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও জাপানি ঠিকাদার তা ঠিক করেনি।’
বড় সেতু বা উড়ালপথ নির্মাণে বিয়ারিং প্যাড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি বিশেষ ধরনের রাবার দিয়ে তৈরি, যা উড়ালপথের কাঠামোর ওপর থেকে আসা চাপ সরাসরি পিলারে না ফেলে মাটিতে সঞ্চারিত করে।এগুলোর প্রতিটির ওজন প্রায় ১৪০ বা ১৫০ কেজি। বাংলাদেশের মেট্রোরেল প্রকল্পেও এই বিয়ারিং প্যাড ব্যবহার করা হয়েছে।
