■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
২০২৬ শিক্ষাবর্ষে দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিগগিরই লটারি বহাল রেখে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করবে মন্ত্রণালয়।
বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির সাংবাদিকদের জানান, নানা দিক বিবেচনা করে এবারও স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তি লটারির মাধ্যমেই হবে। খুব শিগগির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
মাউশির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অভিভাবকদের একটি অংশ ভর্তি পরীক্ষার দাবি তুলেছিল। কেউ কেউ মানববন্ধনও করেছেন। তবে এখন লটারি পদ্ধতি বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। এটা পরিবর্তন করতে হলে অন্তত এক বছর আগে ঘোষণা দিতে হয়। অন্তর্বর্তী সরকার এমন ঝুঁকি নিতে চায় না।
অন্যদিকে, দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা ফেরানোর দাবি জানিয়েছে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’। গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের কাছে তারা লিখিতভাবে আবেদন করেছেন। আবেদনে সই করেছেন সমিতির আহ্বায়ক এ কে এম আজাদ ও সদস্যসচিব মো. আব্দুল মূবীন।
আবেদনে বলা হয়েছে, বিগত সরকারের আমলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে চালু করা লটারির পদ্ধতি শিক্ষার জন্য ক্ষতিকর।
২০২৬ খ্রিষ্টাব্দেও এই পদ্ধতি চলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অভিভাবকরা অবগত হয়েছেন। এতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন এবং শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হওয়ার ক্ষেত্রে লটারিকে দায়ী করেছেন।
