বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির কার্যক্রম চালু

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কার্যক্রম পুনরায় সচল করা হয়েছে। রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, চব্বিশের জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষা ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংঘটিত হয়েছিল, তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। বরং দেখা যাচ্ছে, জুলাইয়ের শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন যেমন নিশ্চিত করা হয়নি, তেমনি তাদের নিরাপত্তাও যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সরকার। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে শহীদ পরিবার ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনো প্রত্যক্ষ করেনি, যা হাজারও শহীদ ও আহতদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের চরম ব্যর্থতা।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের বৈপ্লবিক রূপান্তর নিশ্চিতে এবং ঐতিহাসিক এক দফা, অর্থাৎ ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণের নিমিত্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সব ইউনিট কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হলো। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়, মহানগর ও জেলা ইউনিটকে আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’

গত ২৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশে সংগঠনটির সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা করে। রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশীদ। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ব্যানার ব্যবহার করে কোনো ধরনের অপকর্ম করা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশীদ তখন বলেন, অনেকগুলো ঘটনা আমরা দেখতে পেয়েছি, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে নামে-বেনামে অনেক ধরনের অপকর্ম, অপকাণ্ড করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে।…আমরা যেদিন আত্মপ্রকাশ করেছিলাম, সেদিনই আমরা সতর্ক করেছিলাম—এই ধরনের কোনো কিছু বরদাশত করা হবে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্র জানায়, সারা দেশে সংগঠনের শতাধিক কমিটি রয়েছে। এর মধ্যে জেলা পর্যায়ে আছে ৪৫টি। মহানগর কমিটি আছে ৭টি, থানা কমিটি আছে ২৩টি। এ ছাড়া ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও কমিটি আছে। এর বাইরে উপজেলা পর্যায়েও বেশ কিছু কমিটি রয়েছে। উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো স্থানীয় উদ্যোগে হয়েছে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *