:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিশিষ্ট শিল্পপতি নাসির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান ও এমডি নাসির উদ্দিন বিশ্বাস মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসির উদ্দিনের বড় ভাইয়ের ছেলে কিবরিয়া বিশ্বাস।
মঙ্গলবার রাত দশটায় গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকুন্ডিতে জানাজা শেষ তাকে দাফন করা হবে।
নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ১৯৪৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার সোনাইকুন্ডি গ্রামে জন্ম নেন। তার পিতা ইদ্রিস আলী ও মা মোছা. রহিমা বেগম।
তিনি ১৯৬৭ সালে এসএসসি পাস করেন। ১৯৬৯ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে বিকম পাস করেন। ৩ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে নাসির উদ্দিন দ্বিতীয়। কৃষি কাজের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু।
১৯৭২ সালে তিনি তামাক ব্যবসা শুরু করেন। নাসির বিড়ি ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন ১৯৭৬ সালে। এরপর আর পেছনের ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে প্রতিষ্ঠা করেন নাসির বিড়ি লিমিটেড, নাসির টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির লিফ টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির শিল্প গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ মেলামাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির গ্লাসওয়্যার অ্যান্ড টিউব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বাংলাদেশ ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির এনার্জি সেভিং ল্যাম্প ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, বিশ্বাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, নাসির স্টার্চ কোম্পানি লিমিটেডের মতো ১২টিরও বেশি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
তিনি নিজ এলাকা আল্লারদর্গায় নাসিরউদ্দিন গার্লস মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন। পরে সেটি কলেজে উন্নীত করেন। ১৯৯১ সাল থেকে প্রতি বছর কুষ্টিয়ার ১০০ জন করে ছাত্র ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করে আসছেন। একই এলাকায় স্ত্রীর নামে আনোয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু হাসপাতাল স্থাপন করেন। মায়ের নামে স্থাপন করেন রহিমা বেগম একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দৌলতপুর উপজেলার বাড়াগাংদিয়াতে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
এ ছাড়া দৌলতপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার আলো সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নিজস্ব অর্থায়নে ১৩টি ইউনিয়নে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলো সরকারি হয়েছে।