■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
জুলাই যোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলমকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুজ্জামানের আদালতে ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইলতুৎমিশ সওদাগর এ্যানি এ তথ্য জানান।
আসামিরা হলেন- ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভেরিফিকেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন, কর্মকর্তা সাইদুর রহমান শাহিদ, সাগর, আফজালুর রহমান সায়েম, ফাতেমা আফরিন পায়েল, আলিফ, জাহিদ, মেহেদী হাসান প্রিন্স, এক্সিকিউটিভ মেম্বার সাবরিনা আফরোজ শ্রাবন্তী ও সোনিয়া আক্তার লুবনা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জুলাই যোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি গত বছরের ১৮ জুলাই কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমণে গুলিবিদ্ধ হন ৷ জুলাই ফাউন্ডেশন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ও শহীদ পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৭ মে দুপুর ১২টার দিকে বাদী জাহাঙ্গীর আলম জুলাই ফাউন্ডেশনের অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তিনি আসামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুদান চেয়ে তিনি কিছু দালিলিক প্রমাণ দাখিল করেন৷ পরবর্তীতে আসামিরা জুলাই ফাউন্ডেশনে একটি আলোবিহীন কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে মারধর শুরু করে। এ সময় এলোপাথারি জিআই পাইপ দিয়ে সজোরে তার মাথা বরাবর আঘাত করা হয়। এতে ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর অজ্ঞান হয়ে যান। দীর্ঘ সময়ের পরে জ্ঞান ফিরে এলে আসামিরা ফের তাকে মারধর শুরু করেন। এসময় জাহাঙ্গীরকে ভুয়া জুলাইযোদ্ধা এ কথা বলার জন্য চাপ প্রদান করেন। এসময় তার মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। তার ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি দেখে আবার এলোপাথারি কিল ঘুষি মারা হয়। তারা জানতে চান, বিএনপি নেতার সঙ্গে তার ছবি কেন। পরে আসামিরা জোরপূর্বক তার ডান হাতে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। এছাড়া আসামিরা তার মোবাইল কেড়ে নেয় এবং তাকে রাস্তায় অচেতন অবস্থা ফেলে দেয়। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জ খানপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
