■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় গ্রেফতারের কয়েক ঘণ্টা পর কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান তার জামিনের আদেশ দেন।
সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে কারামুক্ত হন তিনি।
শনিবার দুপুরে হাতিরঝিলের উলন এলাকায় হিরো আলমের অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিকালে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
পরে শুনানিতে হিরো আলমের আইনজীবী শান্তা সাকসিনা জামিন চেয়ে আবেদন করে বলেন, গত ১ জুলাই হিরো আলম পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত স্থায়ী জামিন পান। চারটি ধার্য তারিখে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে তার জামিন বাতিল করা হয়। শনিবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করেছে। আদালতে অনুপিস্থিত থাকার ভুল আর হবে না বলে উল্লেখ করে জামিন প্রার্থনা করেন তার আইনজীবী।
আদালতে তিনি দাবি করেন, হিরো আলম কাউকে মেরেছে বা কুৎসা রচনা করেছে এমন উদাহরণ নেই। জামিন বাতিল হতে পাঁচটা কারণ থাকতে হয়। এর একটাও নাই। বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউর রহমান রুবেল জামিনের বিরোধীতা করে বলেন, চারটা ধার্য তারিখে তিনি আদালতে আসেননি। এখানেই তো আদালত অবমাননা করছে। হাজিরা না দিয়ে দুধ দিয়ে গোসল করলেন।
শুনানিকালে রিয়া মনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত তার বক্তব্য শুনতে চান। তখন রিয়া মনি বলেন, মিডিয়া ডেকে আমাকে তালাক দেয়। আমাকে বাজে মেয়ে বলে। তাহলে কীভাবে আমার সঙ্গে চার বছর সংসার করলো।
এসময় কাঁদতে কাঁদতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার তো বাঁচার অধিকার আছে। নৃশংস আচরণ করেছে আমার সঙ্গে, সাইবার বুলিং করছে।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে ২০০ টাকা মুচলেকায় হিরো আলমকে জামিনের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্তি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান হিরো আলমের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় এ মামলা করেন রিয়া মনি।
