বিচারকের ছেলেকে হত্যা, ৫ দিনের রিমান্ডে লিমন

■ রাজশাহী প্রতিনিধি ■

রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে হত্যা এবং স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামির সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও জানান, শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসাধীন লিমন মিয়াকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়। এরপর তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর থেকে তাঁকে আদালতের হাজতে এবং বেলা ২টার দিকে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত থেকে তাঁকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ড এবং হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে লিমন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় খুন হন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন। এ সময় আহত হন হামলাকারী লিমন মিয়া ও তাওসিফের মা তাসমিন নাহার লুসি। ঘটনার পর থেকে তারা রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর রাজপাড়া থানায় নিহতের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন লিমনের বিরুদ্ধে। এর আগে একইদিন সকলে নিহত সুমনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে রামেক হাসপাতাল থেকে জামালপুরে দাফনের জন্য নিহত তাওসিফের মরদেহ নিয়ে যায় পরিবার।

এদিকে, চিকিৎসাধীন লিমনকে হাসপাতালে পাহারায় নিযুক্ত ছিলেন আরএমপির একজন উপ-পরিদর্শক ও তিনজন কনস্টেবল ঘটনার রাতেই পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় লিমনের বয়ান ভিডিও করে বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে আরএমপি।

শনিবার রাজশাহীর একটি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি বিবিধ মামলা রুজু করেন আদালতে।

এ মামলায় আগামী ১৯ নভেম্বর আরএমপির কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে আদেশ জারি  করা হয়।

অন্যদিকে পুলিশ হেফাজতে থাকা একজন আসামির ভিডিও বক্তব্য রেকর্ডের সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ঘটনার দিন রাত থেকেই বিষয়টি নিয়ে  পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে লিমনের পাহারায় নিয়োজিত চার পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই পুলিশ সদস্যদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তাদের পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অধিকতর তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম জানান, বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকা কোনো অপরাধীর বক্তব্য সামাজিকমাধ্যম বা যে কোনো গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি। এতে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অন্যদিকে পুলিশ হেফাজতে থাকা একজন আসামির ভিডিও বক্তব্য রেকর্ডের সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ঘটনার দিন রাত থেকেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে লিমনের পাহারায় নিয়োজিত চার পুলিশের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওই পুলিশ সদস্যদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তাদের পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অধিকতর তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম জানান, বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকা কোনো অপরাধীর বক্তব্য সামাজিকমাধ্যম বা যে কোনো গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি। এতে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *