■ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ■
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে প্যানেল ঘোষণা করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
প্যানেলের সহ-সভাপতি এ কে এম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) খাদিজাতুল কুবরা ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী বি এম আতিকুর রহমান তানজিল।
শেখ হাসিনার আমলে ডিজিটাল সিকিউরিটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা সম্প্রতি ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন।
এ কে এম রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জিএস পদে খাদিজাতুল কোবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং এজিএস পদে তানজিল আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এছাড়া সম্পাদকীয় পদে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র সম্পাদক অনিক কুমার দাস, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক নুসরাত চৌধুরী জাফরিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাসফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক আল শাহরিয়ার শাওন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অর্ঘ্য শ্রেষ্ঠ দাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অপু মুন্সি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক তাকরিম আহমেদ, ক্রীড়া সম্পাদক মো. কামরুল হাসান নাফিজ, পরিবহন সম্পাদক মাহিদ হোসেন, সমাজসেবা ও শিক্ষার্থী কল্যাণ সম্পাদক মো. আনন বিন রহমান ও পাঠাগার ও সেমিনার সম্পাদক প্রার্থী রিয়াসাল রাকিব।
প্যানেলে অন্য সদস্যরা হলেন–ইমরান হাসান ইমন, সাদমান সাম্য, সুলতান মাহমুদ শুভ, মনিরুজ্জামান, তৌহিদুল ইসলাম তামিম, মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ।
প্যানেল ঘোষণার পর ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সকল অধিকার বাস্তবায়নে আমাদের এই প্যানেলে যে নাম ঘোষণা করলাম সেই মনোনীত সদস্যরা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রচেষ্টা চালাবে। আমরা যাদেরকে প্যানেলে রেখেছি বিগত সময়ে তারা শিক্ষার্থী বান্ধব কাজ, আন্দোলনসহ সকল কর্মকাণ্ডে তারা তাদের মেধা-মনন দিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্বাস বিশ্বাস করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যায়ন করবে।
আগামী ২২ ডিসেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমবারের মত নির্বাচনে জয়ী হতে মরিয়া ছাত্রদল এবং অন্যান্য সক্রিয় ছাত্রসংগঠন।
