■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তরে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আজকের রায়ে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এই ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনও দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজকের রায়ে পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এ ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ এবং ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার শামিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।
ভারত এখনো হাসিনাকে আশ্রয় দিলে তা হবে ‘শত্রুভাবাপন্ন কাজ’
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ভারত যদি এখনো শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়, সেটা হবে বাংলাদেশের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন কাজ।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি দেওয়া হবে। ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে এটা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ মানুষের বিরুদ্ধে একটা শত্রুতা এবং নিন্দনীয় আচরণ।’
এর আগে রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আইন উপদেষ্টা লিখেছিলেন, ‘শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড। শোকর আলহামদুলিল্লাহ।’
এদিকে ভারত রায়ের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ঘোষিত রায়টি তাদের নজরে এসেছে (নোটেড)।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতের নিকটতম প্রতিবেশী বাংলাদেশ এবং দেশটির জনগণের শান্তি, গণতন্ত্র, অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি ও স্থিতিশীলতাকে ভারত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।
