ডাকসু সদস্য রাফিয়ার ময়মনসিংহের বাড়িতে আগুন

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচিত স্বতন্ত্র সদস্য উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার বাসায় ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঢোলাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা বাসার গেটে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কেরোসিন ও পেট্রোলের মতো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার ভাই খন্দকার জুলকারনাইন রাদ।

তিনি বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।

উম্মে উসওয়াতুন রাফিয়ার পরিবার নগরের ঢোলাদিয়া এলাকায় বসবাস করে। চারতলা বাড়িতে রাফিয়ার দাদি, মা ও ভাই এবং ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন।

রাফিয়ার মা জিন্নাত মহল বলেন, গতকাল রাত ২টা ৫৫ মিনিটে দুর্বৃত্তরা বাসার প্রধান ফটকে ককটেল বিস্ফোরণ করে। আশপাশের মানুষ ও তাঁরা শব্দ শুনতে পান। ফটকের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া দাগ দেখা গেছে। আলাদাভাবে আগুন দেওয়া হয়েছিল কি না, বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তিনি বলেন, ‘আমার কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। আমার মেয়ে যেহেতু ডাকসু নেত্রী, তাঁর তৎপরতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

এ ঘটনায় আজ বেলা দুইটার দিকে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বিকেলে রাফিয়ার ভাই খন্দকার জুলকারনাইন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। পরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ‘গতকাল রাত ২টা ৫০ থেকে তিনটার মধ্যে বিকট শব্দে আমাদের বাসার সবার ঘুম ভেঙে যায়। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে বাসার নিচে এসে দেখি, বাসার গেটের একাংশ পুড়ে কালো হয়ে আছে এবং গেটের সামনে কিছু পোড়া ছাই পাওয়া যায়। বাসার গেটের আশপাশে কেরোসিন ও পেট্রলের গন্ধ পাওয়া যায়। অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করার উদ্দেশ্যে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ককটেল বিস্ফোরণ করে কেরোসিন ও পেট্রলের মতো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে আগুন লাগায়। এতে গেটের সামনের অংশ পুড়ে যায় এবং আগুন এমনিতেই নিভে যায়।’

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *