সশস্ত্র বাহিনী দিবসে খালেদা জিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

■ নাগরিক প্রতিবেদন ■

রাজধানীর সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া পারষ্পরিক সৌজন্য বিনিময় করেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ নেন ড. ইউনূস এবং তার সুস্থতা কামনা করেন।

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রধান উপদেষ্টার সহধর্মিণী আফরোজী ইউনূসের শারীরিক অবস্থারও খোঁজ নেন। সেইসঙ্গে শুভকামনা জানান।

এসময় খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্রবধূ সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। সেখানে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।

গাড়ি থেকে নেমে হুইল চেয়ারে বসে অনুষ্ঠানস্থলে যান খালেদা জিয়া। এ সময় তার পরনে ছিল ল্যাভেন্ডার রঙের শিফন শাড়ি। হাত তুলে তাকে অভিবাদনের জবাব দিতে দেখা যায়।

এর আগে বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বেগম জিয়া গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন তার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান সিঁথি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন চেয়ারপারসনের গাড়িবহরের সাথেই ছিলেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সেনাকুঞ্চের এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পৌঁছালে বিকাল ৪টার পর জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য দেন।

বক্তব্যের শুরুতে তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

এর কিছুক্ষণ পর অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান খালেদা জিয়া। তার বসার ব্যবস্থা হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার পাশের আসনে। সরকারপ্রধান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় হাসিমুখে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *