■ নাগরিক নিউজ ডেস্ক ■
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে আটক করা হয়েছে। শনিবার দেশটির ফেডারেল পুলিশ তাঁকে আটক করে। তাঁর আইনজীবী এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক অভ্যুত্থান ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন পর তার দণ্ড কার্যকর শুরু হতো। এর আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশের গণতন্ত্রের ওপর হামলার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সময় কয়েক মাসের গৃহবন্দি অবস্থার পর এবার তাকে গ্রেফতার করা হলো।
ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থী এই নেতা ২০২২ সালের নির্বাচনে বামপন্থী লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হন। ক্ষমতায় থাকতে অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় জড়িত থাকার দায়ে গত সেপ্টেম্বরে তাঁকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ওই মামলায় এখনো চূড়ান্ত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়নি। কারণ, বলসোনারো এখনো তাঁর আপিলের প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ করেননি। পৃথক আরেকটি মামলায় তিনি ১০০ দিনের বেশি সময় ধরে গৃহবন্দী। নিজের বিরুদ্ধে থাকা ফৌজদারি মামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপ করতে প্ররোচিত করার চেষ্টা করেছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বলসোনারো ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি বলসোনারোর সমর্থকরা বিভিন্ন সরকারি ভবনে হামলা চালান। ওই হামলার প্রেক্ষিতেই মূলত বলসোনারোকে সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে বলসোনারো শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো অস্বীকার করছে। তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ডানপন্থী সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে আটকের ফলে ব্রাজিলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আরও টানাপোড়েন তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বলসোনারোর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনায় তিনি বিস্মিত এবং খুবই অসন্তুষ্ট।
