:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বাংলাদেশ জাতীয় দলের মেয়েদের অর্জনের ঝুলি পূর্ণ হলো বড় শিরোপায়। স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নারী সাফে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।
কটাক্ষ-কটুক্তি, অভাব-অপ্রাপ্তি থামামে পারেনি বাংলাদেশের এই নারী ফুটবলারদের। দৃঢ় কণ্ঠে স্বপ্নসারথীদের জন্য শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করার ঘোষণা দেওয়া ফুটবলার সানজিদা খাতুনরা তাদের স্বপ্ন ছুঁতে পেরেছেন। যারা তাদের ফুটবল মাঠের সবুজ ছোঁয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তাদের শিরোপা ছোঁয়ার উল্লাসে ভাসিয়েছেন।
সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে ফাইনালে মেয়েদের প্রতিপক্ষ ছিল অনেক কিছু। নেপালকে কখনও হারাতে পারেনি মেয়েরা। ২৫ হাজার স্বাগতিক দর্শকের ছিল তাদের বাড়তি উৎসাহ। বৃষ্টির ফোঁটায় কাঁদার মাঠে সেরাটা দিতে পারার শঙ্কাও ছিল। সব জয় করে ম্যাচের ১৩ মিনিটে প্রথম উৎসব করে টাইগ্রেসরা। কর্ণার থেকে আসা ক্রস থেকে গোল করেন শামসুন্নাহার।
প্রথমার্ধে আরও একটি গোল করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবারের গোল আসে কৃষ্ণা রানি সরকারের পা থেকে। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের বল ধরে ম্যাচের ৪১ মিনিটে জোরের ওপর নেওয়া তার শট ফেরানোর কোন সুযোগই পাননি নেপাল দলের গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ মিনিটে এক গোল শোধ করে ম্যাচ জমিয়ে তোলার আভাস দেয় স্বাগতিক নেপাল। কিন্তু ৭৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোলটি করে দলকে শিরোপার কাছে নিয়ে যান কৃষ্ণা। পরের সময়টা গোলবার অক্ষত রাখার কাজটা করতেও ভুল করেনি কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটনের দল।
এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় সাফে প্রথম সাফল্য পেল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হারানোর ক্ষত তৈরি হয়। আসরে ওই ভারতকেও হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েছে ৮-০ গোলে। নেপালকে হারিয়ে হলো স্বপ্ন পূরণ। এর আগে ২০০৩ সালে সাফের শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল।
পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৩ গোল। বিপরীতে বল বাংলাদেশের গোললাইন পেরিয়েছে মাত্র একবার। গ্রুপ পর্বে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতও পাত্তা পায়নি লাল-সবুজের এই প্রতিনিধিদের কাছে।
সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানিদের দাপট দেখে মনে হতে পারে সাফ শিরোপা তারা ডাল-ভাত বানিয়ে জিতেছে। যেন ‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।’ পেছনে ফিরে তাকালে শিরোপা জয় পর্যন্ত দীর্ঘ পথ!
সহজে সাবিনা-কৃষ্ণা-সানজিদাদের দলটা তৈরি হয়নি। একটা একটা করে সিঁড়ি ভেঙে ওদের উপরে উঠতে হয়েছে। সিড়ি মাড়াতে গিয়ে অনেক সতীর্থের পা হড়কে পড়ে যাওয়া দেখতে হয়েছে। শীর্ষ পর্যায়ে আসা এবং শিরোপা ছোঁয়া পর্যন্ত আছে ছোট-বড় অনেক জয়-প্রাপ্তির গল্প।
যে পথে লেখা আছে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলসিন্দুর থেকে যেন লেখা নারী ফুটবলের নতুন গল্পের শুরু। যে গল্প পূর্ণতা পেয়েছে কাঠমান্ডুর দশরথে।
ওই স্কুল থেকে আসা ১২-১৩ বছরের শিশু আঁখি খাতুন, কৃষ্ণা রানি, সানজিদা, মারিয়া মান্ডারা ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জেতে। গ্রাম্য পরিবেশ আর পরিবার ছেড়ে ইট-পাথরের কঠিন শহর ওদের জন্য সহজ ছিল না। যা গল্পের আরেকটি অধ্যায়।
এরপর ওদের ২০১৭ সালে ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৫ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। পরে পিঠে সাঁটা হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮ সাফের চ্যাম্পিয়ন তকমা। ওরা জিততে জানে, ওরা লড়তে জানে। সানজিদার ভাষ্যে যে লড়াইয়ে আছে- বাবার মৃত্যুর গল্প, মায়ের শেষ সম্বল, বোনের গহনা বিক্রির গল্প। আছে অভাব-অনটন, পায়ে পরানো সমাজের নানান শিকল ভাঙার গল্প।
ওই সব বাধা একটা একটা করে ভেঙে, একটা একটা করে লড়াই জিতে তাদের এগিয়ে যাওয়া নিয়ে একাদশ শ্রেণির ইংরেজি প্রথমপত্রের পাঠ্য বইয়ে লেখা হয়েছে, ‘দ্য আনবিটেন গার্লস (অপরাজেয় মেয়েরা)।’ সানজিদা, আঁখি, মারিয়াদের ওই অপরাজেয় তকমায় একটু বোধ হয় কমতি ছিল।
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে ওই গল্পে নতুন মাত্রা দিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ছোটগল্পের বৃত্ত ভেঙে ওদের গল্পটা যেন পূর্ণদৈর্ঘ্য পেয়েছে। ওরা এখন শুধু বয়সভিত্তিক নয় দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন। ওরা এখন সবখানেই ‘দ্য আনবিটেন গার্লস’।
সোমবার কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে বাংলাদেশ। ওই জয়ের পরে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে উল্লাস-উদযাপন করেছেন মেয়েরা। দেশকে এই শিরোপা এনে দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন তারা।
তাদের ওই শিরোপার পথ পাড়ি দেওয়ার কুশিলব কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন। শুধু জাতীয় দলটা তো নয় বয়সভিত্তিক পর্যায়ে থেকে তিনি সানজিদা, মারিয়া, কৃষ্ণাদের প্রস্তুত করেছেন। তাকে ঘিরে খেলোয়াড়দের উদযাপন ছিল চোখে পড়ার মতো।
একটা গোটা জাতির শিরোপা স্বপ্ন কিংবা চাপ কাঁধে নিয়ে খেলেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের মেয়েরা। কোচ ছোটনকে তারা কাঁধে তুলে উদযাপন করতে পারবেন না তা কি হয়! এই মেয়েগুলো তো ছোটনের মেয়ের মতোই। তাদের কাঁধে চড়ে কোচ হাসলেন, বোধহয় কেঁদেও ফেললেন।
সাবিনা খাতুন টুর্নামেন্ট সেরা
বাংলাদেশ নারী দলের আক্রমণভাগের সেরা ভরসা সাবিনা খাতুন টুর্নামেন্ট সেরা ফুটবলারের তকমা জিতেছেন। দুই হ্যাটট্রিকে আসরে পাঁচ ম্যাচে আট গোল করেছেন তিনি। এছাড়া আসরের সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন পাঁচ ম্যাচের মধ্যে ফাইনালে একমাত্র গোল হজম করা রুপনা চাকমা।
সাবিনা খাতুন আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। বাংলাদেশ দল ওই ম্যাচে তুলে নেয় ৩-০ গোলের জয়। পরের ম্যাচ বাংলাদেশ ৬-০ গোলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয়। নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা ওই ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন। এরপর ভারতের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে বল জালে পাঠাতে পারেননি তিনি।
তবে সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ নারী দল। ওই ম্যাচে সাতক্ষীরার মেয়ে সাবিনা জোড়া গোল করেন। আসরে তার গোল সংখ্যা গিয়ে আটে দাঁড়ায়। ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে গোল না পেলেও আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাবিনা। কৃষ্ণাকে দিয়ে এক গোল করান তিনি।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা উচ্ছ্বাস ভরা কণ্ঠে তাই বলেন, ‘এটাই আমার ক্যারিয়ার সেরা টুর্নামেন্ট। ১২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছে এই টুর্নামেন্টে। এই দিনটিই আমার জীবনের সেরা।’
সাবিনা খাতুন পাঁচ ম্যাচে আসরের সর্বোচ্চ ৮ গোল করেছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে এবং ভুটানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ২০১৬ সালে শিলিগুড়ি সাফে স্বপ্নভঙ্গ ভুলে যাওয়ার উপলক্ষ্য পেয়েছেন।
২০০৩ সালে ছেলেদের সাফের পর দেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব এনে দিয়েছেন। এখন তার আরও বড় স্বপ্ন দেখার সময়। কৃষ্ণা, মারিয়াদের বড় স্বপ্ন দেখানোর পালা, ‘অবশ্যই চোখ আরও ওপরে। যে জিনিস একবার পাওয়া যায়, তার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যায়।’
সাবিনা চলার পথের সহযোগী বাবাকে হারিয়েছেন। যার হাত ধরে ফুটবলে আসা। বড় অর্জন প্রিয়জনকে মনে করায়। সাবিনাও চোখের পানি থামাতে পারলেন না, ‘বাবা (আকবর আলী) বেঁচে থাকলে আজ খুব খুশি হতেন। এখন আমার আরেকজন অভিভাবক হলেন রব্বানী (কোচ) স্যার।’
‘মহিলা দলের কোচ বলে ঠাট্টা শুনতে হত‘
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ বিজয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। এখন আমরা দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন। (মেয়েরা) নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে।’
সোমবার সাফের ট্রফি জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে রব্বানী বলেন, ‘যখন আমি কোচিং শুরু করি তখন আমার বন্ধুরা বলতো ওই যে মহিলা কোচ যাচ্ছে। রাস্তায় যখন হেঁটে যেতাম আমাকে দেখে হাসাহাসি করতো। ঠাট্টা করতো আমাকে নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কখনোই মনে হয়নি যে আমি কোনো নিচু কাজ করছি। আমি কাজকেই পছন্দ করতাম। আজকের যে অবস্থা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাদের নিয়ে, সেটা অবশ্যই ভালো লাগার কথা। আমার এতদিনের পরিশ্রম সফল হয়েছে বলব।’
রব্বানী বলেন, ‘গতকাল ভেবেছিলাম, সবাই যেহেতু বলছে মাঠে নেপালের দর্শক বেশি থাকবে, আর আমিও খেলোয়াড় থাকতে মোহামেডান–আবাহনী ম্যাচে ৫০ হাজার দর্শক দেখেছি। সে অভিজ্ঞতা থেকেই তৈরি ছিলাম। মেয়েদেরও মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়নি। আগেভাগে গোল পেলে নেপাল চাপে পড়বে জানতাম। সেটাই হয়েছে। নেপাল এই সাফে ফাইনালের আগ পর্যন্ত ৩ ম্যাচ খেলেছে, আমরা ৪ ম্যাচ খেলেছি। আমাদের মেয়েদের ফিটনেস এবং দৃঢ়চেতা মনোভাব সত্যই দুর্দান্ত ছিল।’
বাংলাদেশের মেয়েদের এই বদলে যাওয়ার শুরু কবে থেকে—এই প্রশ্নের উত্তরে গোলাম রব্বানী ছয় বছর পেছনে ফিরে যান, ‘রূপান্তরের শুরুটা ২০১৬ সাল থেকে, যখন আমরা থাইল্যান্ডে অনূর্ধ্ব–১৬ টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলাম…আমরা ২০১৬ সালের অক্টোবরেই অনুশীলন শুরু করি। পরের চার–পাঁচ বছর মেয়েরা বেশ কিছু বয়সভিত্তিক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়।’
মেয়েদের ফুটবলে শুরু থেকেই দলের সঙ্গে আছেন গোলাম রব্বানী। ২০০৯ সাল থেকে আছেন নারী দলের কোচ হিসেবে।
জয়ের আনন্দে ভাসছে কলসিন্দুর
সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় জয়ের আনন্দে ভাসছে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুর। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলাজুড়ে যেন আনন্দের হোলিখেলা শুরু হয়েছে।
কলসিন্দুর গ্রামের সানজিদা, মারিয়া মান্দা, শিউলি আজিম, মারজিয়া আক্তার, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র এ ছয় নারী খেলোয়াড় খেলায় অংশ নেয়ায় আনন্দ ধরে রাখতে পারছে না খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।
নারী ফুটবলারদের এ সাফল্যে কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও কলসিন্দুর নারী ফুটবল টিমের টিম ম্যানেজার মালা রানী সরকার বলেন, আজকের জয়ে আমরা অনেক অনেক আনন্দিত, এ জয় আমাদের মেয়ে এবং ছেলেদের জন্য আগামী দিনে বিশ্বজয়ের জন্য অনুপ্রেরণা জোগাবে।
তিনি বলেন, আমরা আগামীর জন্য খেলোয়াড় তৈরির ক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে দুটি ফর্মেটেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। কিছুদিন আগে আমাদের কলসিন্দুর ছোট টিমের মেয়ে এবং ছেলেরা জাতীয় গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ (স্কুল এবং মাদ্রাসা) এর দুটি ফর্মেটেই জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়নের গৌরব অর্জন করেছে।
অপ্রতিরোধ্য এই ফুটবল কন্যাদের শুরুটা ২০১১ সালে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে। জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার গারো পাহাড়ের পাদদেশে ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে উঠে আসে একদল কিশোরী ফুটবলার।
যাদের পায়ের জাদুতে ধুঁকতে থাকা নারী ফুটবল ফিরে পায় আলো। প্রথম দিকে যদিও এলাকার কিছু কিছু মানুষ তাদের ভিন্ন চোখে দেখত, এখন আর সে অবস্থা নেই। হাঁটি হাঁটি পা পা করে তারা অনেক সফলতা নিয়ে এসেছে। আর তা দেখে সবার মনেই পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
বর্তমানে সবাই তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এরই ধারাবাহিকতায় সাফ জয় শুধু কলসিন্দুর নয়, উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলের জন্যই আনন্দের।