সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রথম সচিব হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

সুপ্রিম কোর্ট সচিবলায়ের প্রথম সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাকে সচিব হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীকে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আপাতত একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার এবং সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ধারা ৪ এর উপধারা ২ ও ৪ মোতাবেক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির উপর ন্যস্ত থাকবে এবং সচিবালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধান হিসেবে একজন সচিব নিযুক্ত থাকবেন।

নিম্ন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ) অধ্যাদেশ জারির জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে দ্রুত সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠা ও সচিবালয় কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় গেজেট জারিসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানায়।

বিজেএসএর সভাপতি মো. আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মজহারুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের মানুষের জন্য বহু প্রতীক্ষিত স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করায় আমরা আনন্দিত।

তারা আরও বলেন, এই অধ্যাদেশ একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে থাকবে এবং জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করবে। ইতিহাসে বহুদিন ধরে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা হলেও বিভিন্ন কারণে দেশে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৯৯ সালে মাসদার হোসেন মামলার রায় স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনের শাসন দেখতে আগ্রহী বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাসহ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দাবি ছিল সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব সচিবালয় থাকবে, যার অধীনে পুরো বিচার প্রশাসন পরিচালিত হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করেছে। এটি নিঃসন্দেহে জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন এবং বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার ইতিহাসে এক সোনালি সংযোজন।

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *