■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এক দুদিন পরে কিংবা ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এক দুদিন আগেও হতে পারে। অর্থাৎ মাঝামাঝি কোনো সময় হতে পারে।
ফেব্রুয়ারির ৮ তারিখ রোববার এবং ফেব্রুয়ারি ১২ তারিখ বৃহস্পতিবার। সে হিসেবে মঙ্গলবারের দিকে সংসদ নির্বাচন হতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
এদিকে তফসিল আগামী সপ্তাহের রোববার (০৭ ডিসেম্বর) ভোট নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই সব তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে দু-তিন দিন সময় রেখে বা বৃহস্পতিবারের দিকে (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণা করা হবে পারে।
অন্যদিকে ভোটগ্রহণের সময়ও একটা বাড়ানোর কথা ভাবছে ইনি। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যেহেতু গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একদিনে হবে, তাই গোপন কক্ষের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। আবার ভোটের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে নয় ঘণ্টা করা হতে পারে। এজন্য সকাল-বিকেলে দুই দিকেই সময় বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে। এখন সকাল ৮ থেকে ভোট শুরু হয়, সেটা সাড়ে সাতটা হতে পারে। আবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট হয়, সেটা সাড়ে চারটা করার কথা ভাবা হচ্ছে।
সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখেই শুরু থেকে সকল প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে সরকার থেকে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ (ভোট দানের কক্ষ), বাজেট বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিতে হয়েছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক এ সংস্থাটিকে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ শেষ করছে। অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপও শেষ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সকল বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক শেষ করেছ, এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আগামী বছরের রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে আসছিল ইসি। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের কথা জানান। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু করেছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।
