শাপলা কলি প্রতীকে ইসির নিবন্ধন সনদ পেল এনসিপি

■ নাগরিক প্রতিবেদক ■

শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের কাছ থেকে নিবন্ধনের সনদ নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বুধবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সনদটি নেন দলের নেতারা।

সচিবের কাছ থেকে নিবন্ধনের সনদ পেয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নিবন্ধনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ইসি ও এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ প্রতীকে এনসিপি নির্বাচনে অংশ নেবে।’

নির্বাচনী জোট করলেও প্রার্থীকে দলের স্ব-স্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে—গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিওর) এমন সংস্কারে ইসিকে সাধুবাদ জানান নাহিদ।

সংস্কারটি বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ জানিয়ে নাহিদ বলেন, একটি বিশেষ দল সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চাপ প্রয়োগ করছে। আদালতেও রিট হয়েছে। আদালতকে ব্যবহার করে এখন এই সংস্কার প্রস্তাব বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে।

নাহিদ আরও বলেন, ‘হলফনামায় প্রার্থীর তথ্য যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিলে ইসিকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এখন যে ডিসি–এসপি বদলি হচ্ছে, সে বিষয়ে যেন ইসি খেয়াল রাখে। সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব আছে বলে আমরা মনে করি। এই বিষয়ে যেন ইসি ব্যবস্থা নেয় এবং নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়।’

বৈঠককালে নাহিদ ইসলাম নির্বাচনসংক্রান্ত আরপিও (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ) সংশোধনীকে সাধুবাদ জানান। একইসঙ্গে তিনি এই সংস্কার বাতিলে চাপ সৃষ্টি এবং আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার তীব্র নিন্দা জানান।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, অনেক চড়াই উৎরাই পার হওয়ার পরে অবশেষে প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। শাপলা কলি প্রতীকে এনসিপি এবারের নির্বাচনে অংশ নেবে। ‘প্রত্যেক দলকে স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে’ এই প্রস্তাবনা থেকে ইসি যেন সরে না আসে। একটি বিশেষ দল সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিয়েছে ‘এক মার্কায় নির্বাচনের জন্য’ এবং ‘আদালতকে ব্যবহার করে এখন এই সংস্কার প্রস্তাবনা বাতিলের চেষ্টা করা হচ্ছে। এনসিপি এই বিষয়ে ইসিকে ‘শক্ত অবস্থানে’ থাকার জন্য বলেছে।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘গণভোটের শুধু একটি প্রশ্ন থাকলে ভালো হতো। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজি, নাকি রাজি না। এখন এতগুলো প্রশ্ন থাকায় জটিল হয়ে গেছে ব্যাপারটা। শুধু মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নয়, জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে গণভোটের সচেতনতা তৈরি করতে হবে।’

শেয়ার করতে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *