■ নাগরিক প্রতিবেদক ■
ঢাকায় মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় খাঁচা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় আড়াই ঘন্টা পর ডেইজি নামের সিংহীটিকে খাঁচায় ফেরানো হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে জাল দিয়ে হিংস্র পশুটিকে ধরা হয়।
শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে খাঁচা থেকে বেরিয়ে যায় সিংহী ডেইজি। ঘটনার পরপরই চিড়িয়াখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং দর্শনার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর সিংহীটিকে নিরাপদে খাঁচায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ প্রশিক্ষিত প্রাণী ব্যবস্থাপনা দল প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই সিংহীটিকে অচেতন করে খাঁচায় প্রবেশ করায়। সিংহটির শারীরিক অবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে এবং পশুচিকিৎসক দল তার ওপর নিবিড় নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই সিংহীটি ধরা দিয়েছে।’
এর আগে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সিংহীটি জাতীয় চিড়িয়াখানায় তার খাঁচা থেকে বেরিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সে সময় চিড়িয়াখানার পরিচালক রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, সিংহীটি চিড়িয়াখানা থেকে হারিয়ে যায়নি, ভেতরেই আছে। তার গতিবিধি লক্ষ্য করে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সিংহীটি কীভাবে বেরিয়ে গেল- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হয়তো তালা লাগানো হয়নি। কারণ কোথাও কোনো গ্রিল ফাঁকা বা ভাঙা এরকম কিছু নেই। দরজা দিয়ে বের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
এর আগে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়ে গেছে। তবে এটি এখনো চিড়িয়াখানায় ৬ ফুট উচ্চতার নেটের ভেতরেই আছে। আমরা ইতোমধ্যে সিংহীটিকে চেতনানাশক দিয়েছি। সিংহীটি অচেতন হয়ে গেলে আবার খাঁচায় ফিরিয়ে আনা হবে।’
‘তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সিংহীটির অচেতন হতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগতে পারে,’ সন্ধ্যা ৭টার দিকে বলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, চিড়িয়াখানার ভেতরে থাকা সব দর্শনার্থীকে ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে মিরপুর চিড়িয়াখানায় মোট ৫টি সিংহ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সিংহীটি কীভাবে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল তা তদন্তে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মোঃ বয়জার রহমানের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
কমিটির অপর সদস্য হলেন উপপরিচালক (খামার) মোঃ শরিফুল হক। কমিটি তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ানের নিকট পেশ করবেন।
