■ নাগরিক প্রতিবেদন ■
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ভবনের সামনে ফ্লাইওভার থেকে ছোড়া ককটেল বিস্ফোরণে সিয়াম মজুমদার(২১) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি একটি গাড়ির ডেকোরেশন দোকানের কর্মচারী।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটের দিকে মগবাজার ফ্লাইওভারের ইস্কাটন অংশ থেকে নিক্ষেপ করা ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান সিয়াম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, ফ্লাইওভার থেকে একটি শক্তিশালী ককটেল নিচে কে বা কারা নিক্ষেপ করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। ধারণা করা হচ্ছে, ককটেলটি সরাসরি ওই ব্যক্তির মাথার ওপর পড়ে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ, ডিবিপুলিশ ও সেনাবাহিনী রয়েছে। শক্তিশালী ওই ককটেলের আলামত সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট কাজ শুরু করেছে। আর মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মিজান বলেন, সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে হঠাৎ করে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পরে সবাই চিৎকার দিকে থাকে। সামনে গিয়ে দেখা যায়, এক পথচারী রাস্তায় পড়ে আছে। তার মাথার খুলি আলাদা হয়ে গেছে।
হাতিরঝিল থানার ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, প্রাথমিকভাবে ককটেল জাতীয় বোমা বিস্ফোরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি পরিকল্পিত নাশকতা কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।
ফারুক চা স্টলের মালিক ফারুক বলেন, সিয়াম আমার কাছে চা খেতে আসে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ওপর থেকে একটি ককটেল পড়ে বিস্ফোরণ হয় এবং সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। এতে তার মাথার মগজ বেরিয়ে যায়।
নিহত সিয়ামের ছোট ভাই সিজান বলেন, আমার ভাই জাহিদ কার ডেকোরেশন দোকানে কাজ করত। দোকান থেকে সে নাস্তা কিনবে বলে বেরিয়েছিল। চায়ের দোকানে চা চাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে তার মাথার ওপর ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং ঘটনাস্থলে আমার ভাই মারা যায়।
রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সিয়ামের বাবা আলী আকবর মজুমদারকে বিলাপ করতে দেখা যায়। আলী আকবর পেশায় রিকশাচালক। তাঁরা থাকেন ইস্কাটনের দুই হাজার গলিতে। গ্রামের বাড়ি খুলনার দিঘলিয়ায়।
আলী আকবর বলেন, ‘সকাল ৯টায় বাসা থেকে কাজে বের হয়েছিল সিয়াম। মোটরপার্টসের দোকান থেকে চায়ের দোকানে কাপ দিতে গিয়েছিল। ওর মাথায় বোমা পড়েছে।’
