:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানো হয়েছে। ১৪ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এতদিন বিক্রি হয়েছে ১৯২ টাকায়।
নতুন দর অনুসারে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হবে ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেলের লিটার দাঁড়াবে ১৫৮ টাকায়। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলে ৬৫ টাকা কমিয়ে ৮৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে।
সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোজ্যতেল মালিক সমিতির সদস্যরা বর্তমানে ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল এবং টি কে গ্রুপের এমডি মোস্তফা হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডলারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে এবং এলসি খোলার জটিলতার বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা শেষে এবং ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভোজ্যতেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
নতুন করে দাম কমানোর আগে খোলা সয়াবিনের লিটার ১৭৫, বোতলজাত এক লিটার ১৯২ এবং ৫ লিটারের বোতল ৯৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এর আগে ২৩ আগস্ট দাম বাড়নো হয়েছিলো ভোজ্যতেলের। প্রায় দেড় মাস পর দাম কমানো হলো।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর ১৪৫ টাকা থেকে ১২ টাকা কমিয়ে পাম অয়েলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৩৩ টাকা। যা ২৫ সেপ্টেম্বর থেক কার্যকর করা হয়েছে।
গত ১৪ মার্চ সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর মাত্র দুই দিন পরেই ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। সে সময়ে এ নির্দেশের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। পরে গেল ৩ জুলাই সে মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করে এনবিআর।
অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এনবিআরের সূত্রে জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বহাল রাখা হতে পারে।
তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময় ভ্যাট সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির (আগে ১ ডলার সমান ৮৬ টাকার স্থলে বর্তমানে ১ ডলার সমান ১০৫ টাকা) কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য আনুপাতিক হারে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।