:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান ‘বেনজিন’-এর সম্ভাব্য উপস্থিতির কারণে আমেরিকার বাজার থেকে ইউনিলিভার স্বেচ্ছায় নিজস্ব কিছু পণ্য প্রত্যাহার করছে।
ইউনিলিভার যেসব ব্র্যান্ডের পণ্য প্রত্যাহার করছে সেগুলো হলো ডাভ, নেক্সাস, সুঅভ, টিআইজিআই এবং ট্রেসেমে। প্রত্যাহারের তালিকায় থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাভ ড্রাই শ্যাম্পু ভলিউম অ্যান্ড ফুলনেস, ডাভ ড্রাই শ্যাম্পু ফ্রেশ কোকোনাট, নেক্সাস ড্রাই শ্যাম্পু রিফ্রেশিং মিস্ট এবং সুঅভ প্রফেশনালস ড্রাই শ্যাম্পু রিফ্রেশ অ্যান্ড রিভাইভ।
এসব পণ্য ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের আগে উৎপাদিত হয়ে থাকলে, সেগুলো প্রত্যাহার করতে বলেছে ইউনিলিভার।
বেনজিন একটি কার্সিনোজেন। অর্থাৎ এ পদার্থটি মানুষের দেহের জীবন্ত টিস্যুতে ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাস, মুখের মাধ্যমে কিংবা ত্বকের মাধ্যমে এই রাসায়নিক পদার্থ শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ইউনিলিভার-এর প্রত্যাহার বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শ্বেত রক্ত কণিকার আধিক্যজনিত সমস্যা ও ব্লাড ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে বেনজিন।
তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরই ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের আগে তৈরি বিভিন্ন শ্যাম্পু বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিলিভার। এর আগে ২০২১ সালে একইভাবে একাধিক প্রসাধনী সামগ্রী বাজার থেকে তুলে নিতে দেখা গিয়েছিল জনসন অ্যান্ড জনসন, পি অ্যান্ড জি এবং ওল্ড স্পাইসের মতো একাধিক সংস্থাকে। পি অ্যান্ড জি নিজেদের সব প্রসাধনীর উপর বিশেষ পরীক্ষা চালিয়েছিল। ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে বেনজিন মেলায় বাজার থেকে তুলে নেয় প্যান্টিন অ্যান্ড হার্বল এসেন্সেস ড্রাই শ্যাম্পু।
এফডিএ জানিয়েছে, এই ‘ড্রাই শ্যাম্পু’-তে প্রোপেন ও বিউটেন ব্যবহার করা হয়। এগুলি পেট্রোলিয়াম থেকে পাওয়া যায়। পেট্রোলিয়ামের বিভিন্ন উপজাত পদার্থের মধ্যে অশুদ্ধি হিসাবে মিশে থাকে বেঞ্জিন। এই বেঞ্জিন এমন একটি উপাদান যার নিয়মিত সংস্পর্শে বিভিন্ন গুরুতর রোগ দেখা দিতে পারে। এমনকি লিউকিমিয়া বা রক্তের ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে। কী পরিমাণে এই উপাদান ওই শ্যাম্পুগুলিতে পাওয়া গিয়েছে তা নির্দিষ্ট করে না বলা হলেও, তা সহনীয় মাত্রার থেকে বেশি ছিল বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রাসায়নিক চুল সোজা করার পণ্যগুলো মহিলাদের জরায়ু ক্যানসারের ঝুঁকিতে ফেলে দেয় বলেও উল্লেখ করা হয়। শ্যাম্পুতে ব্যবহার করা হয় বেনজিন। যা থেকে হতে পারে ক্যানসারসহ বিভিন্ন রোগ। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আমেরিকার বাজার থেকে একাধিক প্রসাধনী তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিল প্রশাসন। তালিকায়ও রয়েছে একাধিক নামী ব্র্যান্ড।