:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ৪ বারের এমপি মসিউর রহমান নিজ বাসায় নিঃসঙ্গ মৃত্যুবরণ করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার বাসা থেকে দুপুর ১২টার দিকে অচেতন এই রাজনীতিককে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক জানায় স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
এই বর্ষীয়ান রাজনীতিককে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়ার পর চিকিৎসক ছোঁয়া ইসরাইল তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএনপির মসিউর রহমান ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মরহুম মসিউরের স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক মেয়ে ঢাকায় থাকেন। তার স্ত্রী মাহবুবা রহমান শিখা একজন আয়কর আইনজীবী। এই দম্পতির বড় ছেলে ইব্রাহীম রহমান চিকিৎসক, ছোট ছেলে শোয়াইব রহমান আইনজীবী। মেয়ের নাম শামীম রহমান শিমু।
গত ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের পর থেকে তিনি বাড়িতে একা ছিলেন।
নেতাকর্মীরা জানান, সোমবার বিকেলেই বুকে ব্যাথা উঠেছিল মসিউরের। একজন চিকিৎসককেও দেখিয়েছেন।
সকাল ৮ টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িচাকলকে বাসায় আসতে বলেন মসিউর। ৯ টার দিকে গাড়িচালক বাসায় গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে মই দিয়ে উপরে উঠে সোফায় অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
বিএনপির এই নেতা রাজনীতির পাশাপাশি পরিবহন ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। মাঝেমধ্যে ঝিনাইদহে একাই আসতেন। কখনও কখনও তার স্ত্রীও আসতেন।
বুধবার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে বিএনপির এই নেতাকে সমাহিত করা হবে।