:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লংমার্চে গুলিবর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী আটক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের চেয়ারম্যান ইমরান খানকেই হত্যা করতে চেয়েছিলাম।’
পুলিশি হেফাজতে ভিডিও বিবৃতিতে ওই সন্দেহভাজন বলেন, ‘তিনি (ইমরান খান) মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করছেন এবং আমি এটা দেখে আর সহ্য করতে না পেরে তাকে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়েছি।’
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী বলেন, ‘আমি তাকে হত্যা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমি কেবল ইমরান খানকেই হত্যা করতে চেয়েছিলাম, অন্য কাউকে নয়।’
সন্দেহভাজন হামলাকারী বলেন, ‘ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই আমি হত্যার পরিকল্পনা করছিলাম।’
তার সঙ্গে এ কাজে অন্য কেউ আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নেতিবাচক উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে কেউ নেই। আমি একাই।’
সন্দেহভাজনের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই অভিযুক্তর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চে ইমরান খানকে লক্ষ করে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ তার দলের অন্তত চার নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তার দল পিটিআইয়ের নেতারা জানিয়েছেন।
ইমরান খান গত ২৮ অক্টোর থেকে সরকারবিরোধী লংমার্চ শুরু করেন লাহোর থেকে। সাতদিনের মাথায় এই লংমার্চ পৌঁছায় ওয়াজিরাবাদে। সেখানেই বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ভাষণ দেওয়ার আগ মুহূর্তেই গুলির ঘটনা ঘটে।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে এর সুষ্ঠু তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিপিপি নেতা আসিফ আলী জারদারি।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। আইএসপিআর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনায় নিন্দা জানায় বাহিনীটি।