:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩তম সমাবর্তনে ১৩১ জন শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। সমাবর্তনে অংশ নেবেন ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক।
২২ হাজার ২৮৭ জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকের বিভিন্ন কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৫৩টি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। সমাবর্তনে ৯৭ জনকে পিএইচডি, ২ জনকে ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মোট ৫২জন ব্যক্তিকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। প্রফেসর ড. জঁ তিরোলকে ডক্টর অফ ল’জ ডিগ্রি প্রদানের মাধ্যমে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৩ জন।
সমাবর্তনের দিন বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে চ্যান্সেলরের শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে এবং বেলা ১২টায় শুরু হবে এবারের সমাবর্তন। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর জনাব মো. আবদুল হামিদ। নোবেল বিজয়ী ফরাসী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জঁ তিরোল (Professor Dr. Jean Tirole) সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচক Doctor of Laws (Honoris Causa) ডিগ্রি প্রদান করা হবে।
এবারের সমাবর্তনে মোট ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এদের মধ্যে মোট ২২ হাজার ২৮৭জন গ্র্যাজুয়েট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ভেন্যুতে এবং ৭ হাজার ৭৯৬ জন ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশ নিবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ খেলার মাঠের সুইমিংপুল সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল সাড়ে ৯টায় গেইট খোলা হবে এবং তারা সকাল ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানস্থলে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করার পর কোনোক্রমেই মঞ্চের আশেপাশে ও অন্যান্য স্থানে ঘুরাফেরা করা যাবে না।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জিমনেশিয়াম সংলগ্ন গেইট দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করবেন। তাদের জন্য সকাল ১০টায় গেইট খোলা হবে এবং তারা সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তন হলে আসন গ্রহণ করবেন।
সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য সকলকে আমন্ত্রণপত্র এবং জাতীয় পরিচয়পত্র/ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আইডি/ পাসপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে। আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করা যাবে না। সমাবর্তনস্থলে মোবাইল ফোন, হাতব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশের জন্য মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।