:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে নয়ন মিয়া (২২) নামে এক ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
শনিবার বিকালে উপজেলা সদরের মোল্লাবাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নয়ন উপজেলার চরশিবপুর এলাকার রহমত উল্লাহর ছেলে। তিনি উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি।
ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির দুই কর্মী রফিকুল ইসলাম (৪২) ও সাইদুর রহমানকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আগামী ২৬ নভেম্বর কুমিল্লায় বিএনপির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদর এলাকায় প্রচারপত্র বিলি করেন। প্রচারপত্র বিতরণ শেষে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের ১৯৯০-৯১ সালের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামালের নেতৃত্বে উপজেলা সদরে মোল্লাবাড়ি থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের বাজার, বাঞ্ছারামপুর থানা ও উপজেলা পরিষদ এলাকা অতিক্রম শেষে পুনরায় মোল্লাবাড়ির মসজিদের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। সেখানে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলমের নেতৃত্বে পুলিশ জড়ো হয়। পুলিশ এ সময় সায়েদুজ্জামান কামালকে আটক করতে যায়। এক পুলিশের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি থেকে একপর্যায়ে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় নয়ন নামে এক কর্মীর পেটে গুলি লাগলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া পথে মারা যান তিনি।
ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন। তারা হলেন- বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম (৪১), পরিদর্শক (তদন্ত) তরুণ কান্দি দে (৩২), উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন (৩০) ও বিকিরণ চাকমা (৩২), কনস্টেবল শফিকুল ইসলাম (৩৩) ও বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস (২৬)।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহের ১৯৯০-৯১ সালের সাবেক ভিপি সায়েদুজ্জামান কামাল বলেন, আমরা ৮০০ থেকে প্রায় ১ হাজার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কুমিল্লার বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। কোনোরকম উসকানি ছাড়াই পুলিশ অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে ছাত্রদল নেতা নয়ন গুলিবিদ্ধ হয়।
এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি নূরে আলম বলেন, বিকালে বিএনপির একশ থেকে দেড়শ নেতাকর্মী আকস্মিক মিছিল নিয়ে থানার সামনে জড়ো হয়। পুলিশকে উদ্দেশ করে তারা ইটপাটকেল ছোড়া শুরু করে। সেখানে থাকা টহল দলের দুই কনস্টেবলের কাছ থেকে তারা অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কনস্টেবলরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় আমিসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি।