:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনেই বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ঢাকার সমাবেশ নিয়ে এখনো বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। গণমাধ্যমে জানতে পারছি সরকার অন্য জায়গায় অনুমতি দিতে চায়। দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ হবে। নয়াপল্টনে অতীতেও আমরা অনেক বড় সমাবেশ করেছি। সুশৃঙ্খলভাবে সেসব সমাবেশ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনও জানে কীভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ হয়।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে বিএনপির প্রচার উপকমিটির উদ্যোগে এ মতবিনিময়সভা হয়। সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, গণসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে গঠিত প্রচার উপকমিটির আহ্বায়ক মীর সরফত আলী সপু, সদস্য সচিব প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রচার উপকমিটির নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, ওমর ফারুক সাফিন, আকরামুল হাসান, ফেরদৌস আহমেদ খোকন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাধাবিপত্তি দিলেও কর্মসূচি থাকবে। আমাদের সমাবেশ ঘিরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরিবহণ ধর্মঘট ডাকে। যেই বিএনপির সমাবেশ শেষ, তাদের ধর্মঘটও শেষ।
তিনি বলেন, দেশের গণমাধ্যম নানাভাবেই চাপে পড়ে। আমাদের সমাবেশ নিয়ে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন হবে বলেই আমাদের প্রত্যাশা। সরকার বিএনপির সমাবেশের অনুমতি নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। কখনো অনুমতি দেয়, কখনো দেয় না। অনেক সময় অনুমতি দিলেও শারীরিক আক্রমণ করছে। ২২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত আটজন নেতা মারা গেছেন। সর্বশেষ আমাদের সাবেক এমপি শাজাহান খান মারা গেছেন। শেখ হাসিনার আক্রমণ থেকে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে কেউ বাদ যায়নি।
অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ বলেন, আমাদের দাবিদাওয়া মেনে নিলে তো সমাবেশ করা লাগবে না। তারা আমাদের দাবিসমূহ মানলেই হলো। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। তবে যেখানেই বাধা আসবে, সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ঢাকায় পাঁচ দিন-সাত দিন আগে সমাবেশ শুরু হবে বলে রিউমার ছড়াচ্ছে। এটি ঠিক নয়। আমাদের সমাবেশ হবে ১০ ডিসেম্বর, একদিন। এখন যদি পরিবহণ ধর্মঘট দেওয়া হয়, তা হলে তো বাধ্য হয়েই নেতাকর্মীরা আগে হবে। এটিই বাস্তবতা। আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি বলেন, নয়াপল্টনেই আমরা দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করব। কারণ সব দিক বিবেচনায় নয়া পল্টন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। সরকার বাধা দিলে বুঝতে হবে তাদের দূরভিসন্ধি রয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। বাধা বিপত্তি দিলেও কর্মসূচি থাকবে। আপনারা জানেন আমাদের সমাবেশ ঘিরে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। পরিবহন ধর্মঘট ডাকে। যে-ই বিএনপির সমাবেশ শেষ তাদের ধর্মঘটও শেষ।’
রিজভী আরো বলেন, ‘ঢাকার সমাবেশ নিয়ে এখনো আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। গণমাধ্যমে জানতে পারছি সরকার অন্য জায়গায় অনুমতি দিতে চায়। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ হবে। এখানে অতীতেও আমরা অনেকগুলো বড় সমাবেশ করেছি। সুতরাং এখানে সমাবেশের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন জানে কীভাবে নয়াপল্টনে সমাবেশ হয়। কেননা সভা হচ্ছে আমাদের, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করার দায়িত্ব তো আমাদেরই।’
মতবনিমিয় সভায় বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের দাবি দাওয়া মেনে নিলে তো সমাবেশ করা লাগবে না। তারা আমাদের দাবিসমূহ মানলেই হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চাই। তবে যেখানেই বাধা আসবে সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
আব্দুস সালাম আজাদ আরও বলেন, ‘আজকে পঞ্চাশ বছর পরও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মতো আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ। জিয়া পরিবারের জন্মই হয়েছে দেশের মানুষের জন্য। আজকে শুধু তারেক রহমানের হাতে ক্ষমতা নেই। দেশের সব মানুষের হাতে ক্ষমতা।’
নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার কথা পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করব। কারণ সবদিক বিবেচনায় নয়াপল্টন অপেক্ষাকৃত নিরাপদ। সরকার বাধা দিলে বুঝতে হবে তাদের দুরভিসন্ধি রয়েছে।’
‘আজকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের পতনের কোনো বিকল্প নেই’ বলে উল্লেখ করেন এই বিএনপি নেতা।