:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত তিনটার দিকে পুলিশ আটক করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দলের শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতাকে তাদের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে উদ্ধৃত করে শায়রুল কবির বলেন, ‘ডিবি পুলিশ সদস্যরা রাত তিনটার দিকে উত্তরার বাসায় এসে বলেছে, উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তারা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করছেন।’
পরে ভোর ৬টায় বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম তার উত্তরার বাসায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিবি পুলিশ বাসার আশেপাশে গাড়ি নিয়ে রাত ১০টা থেকেই অপেক্ষমান ছিল। রাস্তার লাইটও বন্ধ করে দিয়েছিল। বাসার নীচের লোকদের সঙ্গে খারাপ আচরণও করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব বেশ রাত করেই বাসায় ফিরেছেন। শরীরটা তার ভালো ছিল না। তাই এসে সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে যান।পরে ওরা আসলে কিছু ওষুধপত্র নিয়ে চলে যান।’
প্রায় একই সময়ে ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মির্জা আব্বাসকে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন শায়রুল।
সমাবেশস্থল নিয়ে যখন একটি সমঝোতায় উপনীত হতে যাচ্ছে দুই পক্ষ তখনই বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলেন।
তবে এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
৯টি বিভাগীয় সমাবেশ শেষে আগামীকাল শনিবার ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ করার কথা রয়েছে। বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ করতে চেয়েছিল। তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। সমাবেশস্থল নিয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতাদের মধ্যে আলোচনা চলার মধ্যে বুধবার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান ও সংঘর্ষ ঘিরে উত্তেজনা বাড়ে।
এরপর গতকাল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। পরে রাতেই স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে সম্ভাব্য দুটি ভেন্যু পরিদর্শন করেন বিএনপি নেতারা।
এ ব্যাপারে মির্জা আব্বাস জানিয়েছিলেন, তারা দুটি ভেন্যু পরিদর্শন করেছেন। এখন এ নিয়ে স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
তিনি জানান, সমাবেশের জন্য তাদের ভালো প্রস্তুতি আছে। কিন্তু মারামারির জন্য প্রস্তুতি নেই।