:: নাগরিক প্রতিবেদন ::
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি দাড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে দশ ব্যাংক মোট খেলাপির ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ ধারণ করছে।
ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৫ ব্যাংক খেলাপি ঋণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এই ৫ ব্যাংকের খেলাপির পরিমান মোট খেলাপির ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। উচ্চ মাত্রার এই খেলাপি ঋণ ব্যাংকগুলোর জন্য অতিরিক্ত ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা্।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ দশ খেলাপি ব্যাংকগুলো হলো-ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান (এনবিপি)। সেপ্টেম্বরের ব্যাংকটির খেলাপির হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। এসময় ব্যাংকটির খেলাপির দাড়িয়েছে ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা বেসিক ও পদ্মা ব্যাংকের খেলাপির হার যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬৭ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ৪৫ দশমিক ৪২ শতাংশ খেলাপি নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। তবে ষষ্ঠ ও সপ্তম তালিকায় থাকা বিডিবিএল ও জনতা ব্যাংকের খেলাপির হার যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ২৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
একইভাবে খেলাপির হার ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ নিয়ে অষ্টম তালিকায় রয়ছে ন্যাশনাল ব্যাংক। এই ১০ ব্যাংকের তালিকার অন্য দুটেি ব্যাংক হলো- রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) এবং রূপালী ব্যাংক। এই ব্যাংক দুটোর খেলাপির হার যথাক্রমে ২১ দশমিক ৪৯ শতাংশ ও ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
দেশের ব্যাংকিং খাতে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে সামগ্রিকভাবে খেলাপি ঋণ বেড়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ। কারণ জুন প্রান্তিকের খেলাপি ঋনের হার ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ থেকে বেড়ে সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশে। তবে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপির তালিকায় থাকা ১০ শীর্ষ ব্যাংকের খেলাপির ঋণ মোট খেলাপির তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ দশমিক ৫১ শতাংশ। যা জুন প্রান্তিকে ছিল ৬৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। সেই হিসাবে ৩ মাসে ওই ব্যাংকগুলোর খেলাপি বৃদ্ধির হার দশমিক ৯৫ শতাংশ।
একই সময়ে পুরো ব্যাংক খাতের মোট খেলাপির ৪৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ধারণ করছে মাত্র ৫টি ব্যাংক। যা তার আগের প্রান্তিকে ছিল ৪৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এছাড়া এই ৫ ব্যাংকের খেলাপি বৃদ্ধির হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।