:: নাগরিক প্রতিবেদক ::
প্রাথমিকের বৃত্তির সংশোধিত ফল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
বুধবার রাতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ মো. রেজওয়ান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ফল প্রকাশিত হয়। প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রথমে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় প্রাথমিকের ফল প্রকাশ করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর বৃত্তির ফল স্থগিত করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৃত্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। কিন্তু ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণ দেখিয়ে সন্ধ্যায় এ ফল স্থগিত করা হয়। পরে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, ‘কারিগরি ত্রুটির’ কারণে স্থগিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল সংশোধন করে আজ বুধবার বিকেলে প্রকাশ করা হবে। কিন্তু সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, স্থগিত ফলাফল আজ রাতের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। কিন্তু রাতে কখন প্রকাশ হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি। পরে রাত সাড়ে ১০টার পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থগিত করা ফলাফল পুনঃযাচাই করে প্রকাশ করা হলো।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট (www.dpe.gov.bd) এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.mopme.gov.bd), স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এবং উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে। ঘরে বসেও মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে। এ জন্য মোবাইলে DPE Thana/Upazila Code No.Roll Number Year লিখে 16222–এ এ পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পায়। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ কোটায় শিক্ষার্থীরা মাসে ২২৫ টাকা করে পাবে। এ ছাড়া বৃত্তি পাওয়া সব শিক্ষার্থী বছরে এককালীন ২২৫ টাকা করে পায়। বৃত্তির মোট কোটা হলো ৮২ হাজার ৫০০টি।
২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়া সম্ভব হয়নি। গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। ৩০ ডিসেম্বর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট নম্বরের এই পরীক্ষায় সময় ছিল দুই ঘণ্টা।