:: তুরাগ প্রতিনিধি ::
রাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে সকালে বেসরকারি ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের একটি গাড়ি থেকে সোয়া ১১ কোটি টাকা ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে।
তুরাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএসের সিকিউরিটি কোম্পানি মানি প্ল্যান্টের গাড়িতে করে সোয়া ১১ কোটি টাকা নিয়ে সাভারের ইপিজেডে ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের বুথে নিয়ে যাচ্ছিল। সকাল ৭টার দিকে আড়াআড়ি করে মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর ব্রিজ–সংলগ্ন ডাচ্–বাংলা ব্যাংকের টাকা বহন করা গাড়িটির গতি রোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে ১০–১২ জন সশস্ত্র ডাকাত নেমে টাকা বহন করা গাড়ির দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে সোয়া ১১ কোটি টাকা ভর্তি ট্রাংক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সশস্ত্র অবস্থায় ডাকাতেরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ পেয়েছি। আমরা টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তুরাগ থানায় কোনো মামলা হয়নি।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, টাকার গাড়িগুলো অনুসরণ করছিল একটি কালো রঙয়ের হাইয়েস গাড়ি। উত্তরার মেট্রোরেলের ১ নম্বর স্টেশন থেকে তুরাগের দিকে ঢোকার পথে কালো মাইক্রোবাসটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়িটির গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে প্রথমে তিনজন নেমে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মানি প্ল্যান্টের গাড়িতে থাকা লোকদের নামিয়ে দিয়ে টাকাভর্তি গাড়িসহ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তুরাগ থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তবে এতে আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কারণ টাকা বহন ও এটিএম বুথে জমার দায়িত্ব নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের। আবার এই টাকা বিমার আওতায় রয়েছে। ফলে এ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’
ডাচ বাংলা ব্যাংকের গণসংযোগ কর্মকর্তা সগীর আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংকের গাড়ি থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে এমন তথ্য ভুল। কারণ গাড়িটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের নয়। উত্তরাতে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে কথা সত্য। কিন্তু সেটি ব্যাংকের টাকা নয়। এটিএম বুথে টাকা শেষ হয়ে গেলে যে কোম্পানির মাধ্যমে আমরা পুনরায় টাকা পূর্ণ করে থাকি সেই কোম্পানির গাড়ি থেকে টাকা ছিনতাই হয়েছে। এখানে ব্যাংকের কোনো বিষয় নয়। অথবা ব্যাংকের কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি।