:: মাদারিপুর প্রতিনিধি ::
মাদারীপুরের শিবচরে হাইওয়ে এক্সপ্রেসের রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যাত্রীবাহী বাসের ১৭ জন নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
আজ ভোর চারটার দিকে খুলনার ফুলতলা থেকে বাসটি ছাড়ে। পরে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা হয়। বাসটির চালক সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারান। বাসটি রেলিং ভেঙে পল্টি খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে সকাল সোয়া আটটা পর্যন্ত ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজন মারা যান।
স্থায়ীয় উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বাসটি ভরা যাত্রী ছিলেন। সড়ক থেকে বাসটি পড়ার সময় ডিগবাজি খায়। এ কারণে এত প্রাণহানি।
উদ্ধারকর্মী চন্দন রায় বলেন, এক্সপ্রেসওয়েতে এর আগেও বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় পড়েছে। কিন্তু এবারই প্রথম বাস খাদে পড়ে ১৬ জন মারা গেছেন। এক্সপ্রেসওয়েতে চালকেরা অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালান, যা এখানে দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহারাজ খাঁ বলেন, আমি ভোর ৪টার পরে বাসে উঠি। সঙ্গে আমার স্ত্রী। স্ত্রীর অফিসের কাজে যাচ্ছিলেন ঢাকা। এরপর চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিচ্ছে। লোকজন চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেলো। আমার আর কিছু মনে নাই। বাসটা যে কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়। এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন মহারাজ খাঁ (৩০)।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম জানান, গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক জানান, এই দুর্ঘটনায় অনেক হতাহত হয়েছে। উদ্ধার কাজ চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।