:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ২৩ জন আহত হয়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ছয়জন।
মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালগুলো থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ঢামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন ১৭ জন ও ভর্তি আছেন চারজন। ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন- নিলয় (৩৫), শাহিন (৪০), রিপন (৪০) রুবেল (৩২)। এছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউটে দুইজন ভর্তি আছেন। তারা হলেন- ফায়ারম্যান মেহেদী হাসান ও দোকানের কর্মচারী মো. রাব্বী (১৭)। এছাড়া হৃদয় (১৩) নামে আরেকজন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন সহকারী অধ্যাপক ডা. এসএম আইয়ুব হোসেন বলেন, ফায়ারম্যান মেহেদী হাসানের শ্বাসনালী ধোঁয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। হৃদয়ের এক শতাংশ পুড়ে গেছে এবং রাব্বীর দুই শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা কেউ হালকা আঘাত পেয়েছেন। তারা চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। ঢামেক হাসপাতালে চারজনকে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। বঙ্গবাজার থেকে আশপাশের আরও চারটি মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৪৯টি ইউনিট কাজ করে।
একপর্যায়ে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি-বিমান-নৌ ও সেনাবাহিনী। তবে তাদের পানি সংকটে পড়তে হয়। পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয়।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে পানি নেওয়া হয়। দীর্ঘ পাইপে পানি নেওয়ার কারণে চাপ না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যাঘাত ঘটেছিল।
অন্যদিকে হাতিরঝিল থেকে পানি নেয় বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার। কয়েক দফায় হেলিকপ্টারে করে হাতিরঝিল থেকে পানি নেওয়া হয়েছিল।