:: নাগরিক নিউজ ডেস্ক ::
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আস্থা ভোটে জয়লাভ করেছেন। আস্থা ভোটে ১৮০ সদস্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
পার্লামেন্টের সদস্যরা তার ওপর আস্থা প্রকাশের পর শাহবাজ শরীফ বিচার বিভাগের সাম্প্রতিক আদেশের বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন। এসময় পার্লামেন্টের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ করে এমন রায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। শাহবাজ শরীফ এর গুরুতর পরিণতি নিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হলেও তা জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব। তার কয়েক দিন পর এই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির উত্থাপিত আস্থা ভোটের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মিয়া মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বের প্রতি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পূর্ণ আস্থা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।’ প্রস্তাবটি উত্থাপনের পর পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রস্তাব গ্রহণের পক্ষে ভোট দেন। পরে, পাকিস্তানের স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ ঘোষণা করেন, হাউজের ১৮০ জন সদস্য তাদের আসন থেকে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
স্পিকার বলেন, ‘এর ফলে মিয়া মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির কাছ থেকে আস্থা ভোট পেয়েছেন এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থা অর্জন করেছেন।’
প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর শাহবাজ শরীফ পার্লামেন্টে ভাষণ দেন এবং তার ওপর আস্থা রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন, তিনি কখনো তাদের হতাশ করবেন না।
তিনি বলেন, ‘পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তকে আজ চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। এই পার্লামেন্ট আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই পার্লামেন্ট যদি বিতর্কের পর কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায় তাহলে সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করা আমার জন্য বাধ্যতামূলক। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার জন্য বাধ্যতামূলক।’
তবে, পিটিআই নেতারা জোর দিয়ে বলেছেন, শাহবাজ শরীফ পার্লামেন্টের আস্থা হারিয়েছেন। পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, পিটিআইয়ের ২০ পার্লামেন্ট সদস্যের ভোট গণনা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী সংসদের আস্থা হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শাহবাজ শরীফের ১৭২ সদস্যের পরিবর্তে মাত্র ১৬০ জন সদস্যের সমর্থন আছে। আজকের ভোট শাহবাজ শরীফ এবং পাকিস্তানের ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের জন্য বড় পরাজয়।’